ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প হঠাৎ কেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে, কী বলছেন আন্দোলনকারীরা
ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড নিয়ে ফের আন্দোলনের হুমকি আন্দোলনকারীদের। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা ও থানার বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিশেষ গোষ্ঠীর নজরে আনা হয়েছে এই প্রকল্পকে।
ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড নিয়ে ফের আন্দোলনের হুমকি দিলেন আন্দোলনকারীরা। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা ও থানার বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিশেষ গোষ্ঠীর নজরে আনা হয়েছে এই প্রকল্পকে।
দেশের বিভিন্ন অংশে মানুষের মতামত না নিয়েই সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রকল্প শুরু করার চেষ্টা ভুড়িভুড়ি। আর পরে তা আটকে যাওয়ার সংখ্যাও কম নয়। তাই সাধারণ মানুষের মতামত নিয়েই প্রকল্প শুরু করতে এবং আটকে যাওয়া প্রকল্প নিয়ে সমাধান সূত্র খুঁজছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রোজেক্ট মনিটরিং গোষ্ঠী। সম্প্রতি এই গোষ্ঠীর নজরে আনা হয়েছে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পকেও।
১৩ একর জমির ওপর পাওয়ার গ্রিডের সাব স্টেশন তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে বহুদিন। বেশ কিছু টাওয়ারও বসেছে। কিন্তু বছর খানেক আগে শুরু হওয়া আন্দোলনে আপাতত বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। সেই প্রকল্প নিয়েই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রজেক্ট মনিটরিং গোষ্ঠী। অন্যদিকে, পাওয়ার গ্রিডের কর্তারাও যোগাযোগ করেছেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে।
মানুষের আপত্তি উপেক্ষা করে প্রকল্প গড়তে রাজি নয় রাজ্য সরকার। অন্তত সামনে একথা বললেও, পিছন থেকে দলীয় নেতা ও পুলিশকে দিয়ে আন্দোলন দমন করার অভিযোগ উঠেছিল বছর খানেক আগেই। সেই চেষ্টা এখনও জারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জমি-জীবিকা-বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির নামে আন্দোলনকারীরা নতুন করে তাদের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। বারুইপুরে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো কোনও চিঠির জবাব তাঁরা পাননি বলেই অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এমন কী স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং থানার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানোর অভিযোগও ফের তোলা হয়েছে। আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রত্যাহার-সহ একাধিক দাবি তোলা হয়েছে সংগঠনের তরফ থেকে। বিষয়টি নিয়ে ৪ জানুয়ারি গণ জমায়েতের ডাকও দেওয়া হয়েছে।