চারদিনের বেশি পৌষমেলা নয়, কড়া নির্দেশ বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের
পৌষ মেলায় দূষণ রোধ করতে হবে। এখন এটাই চ্যালেঞ্জ বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এর কাছে। কারণ এবারে তারা মেলার আয়োজন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পৌষ মেলায় দূষণ রোধ করতে হবে। এখন এটাই চ্যালেঞ্জ বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এর কাছে। কারণ এবারে তারা মেলার আয়োজন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিশ্বভারতী জানে যে, পরিবেশ বিধি লঙ্ঘন হলে আদালত জরিমানা করতে পারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা করা রীতিমত চ্যালেঞ্জ বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এর কাছে।
শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা থেকে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ছড়ায় এই অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন সুভাষ দত্ত । পরিবেশ বিধি মেনে মেলা করতে পরিবেশ আদালত যে নির্দেশ দেয় তার পর বিশ্বভারতী জানায় যে তারা মেলার দায়িত্ব নেবে না। মেলা হবে কী না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরে অবশ্য এই অনিশ্চয়তা কেটে গিয়েছে।
সাত পৌষ থেকেই চার দিন মেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বিশ্বভারতী জানিয়েছে যে মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যে ভাঙা মেলা চলে, তা আর চলতে দেওয়া যাবে না। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেলা পরিবেশবান্ধব, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও মেলা উঠে যাওয়া সুনিশ্চিত করা হবে। চার দিনের বেশি মেলা চলবে না। বোলপুর পুরসভাকে সঙ্গে নিয়ে মেলা মাঠের আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে।
জানা গিয়েছে, ৪ পৌষ যে আতশ বাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় তা হবে মেলা মাঠের থেকে দূরে। সেখানে শব্দহীন বাজি ফাটানো হবে। ঠিক হয়েছে এবার খাবারের স্টল একটি নির্দিষ্ট জায়গায় করা হবে। যেখানে সেখানে খাবার স্টল করতে দেওয়া হবে না। এমনিতেই মেলাতে স্টল বন্টন করা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিশ্বভারতী এবার জানিয়ে দিয়েছে যে এবার থেকে সব প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে। আবেদন ও অনুমতি দেওয়া হবে অনলাইনে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানিয়েছেন, এবারে মেলা চার দিনের বেশি চলবে না। সব রকম পরিবেশ বিধি মেনে পৌষ মেলা করা হবে।