সাধের পৌষ মেলায় কোপ, কেন কমল উৎসব পালনের দিন
এবার থেকে ছয়দিনের বেশি পৌষ মেলা নয়। বিশ্বভারতীকে এমনই নির্দেশ দিল পরিবেশ আদালত। বিষয়টি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনজনকে।
এবার থেকে ছয়দিনের বেশি পৌষ মেলা নয়। বিশ্বভারতীকে এমনই নির্দেশ দিল পরিবেশ আদালত। বিষয়টি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনজনকে।
মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে ২০১৫ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। গতবছরে পৌষমেলা তিনদিনে বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গ্রিন ট্রাইবুনাল। সেই সময় ট্রাইবুনালের প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বভারতীর তৎকালীন রেজিস্ট্রার জানিয়েছিলেন পৌষ মেলার দায়িত্বে রয়েছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের উইল অনুযায়ী পৌষ মেলা চালাচ্ছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তবে মেলার বেশিরভাগ দায়িত্ব সামলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
আদালতের নির্দেশ না মেনে গতবছরে তিনদিনের বেশি মেলা হওয়ায় জেলাশাসক ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পরস্পরের ওপর দোষ চাপিয়েছিলেন। এরপরেই মামলাকারী সুভাষ দত্ত পৌষ উৎসব ও পৌষ মেলা পৃথক করার প্রস্তাব দেন। বিকল্প জায়গার ছবিও আদালতকে দেওয়া হয়েছিল। বোলপুর ডাকবাংলোর মাঠে মেলার আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু অধ্যাপক, ছাত্র থেকে কর্তৃপক্ষ সকলেই এর বিরোধিতা করেন।
এদিকে গতবছরে মেলার দিন কমে যাওয়ায় স্টলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তা নিয়েও গণ্ডগোল দেখা গিয়েছিল। মেলার খরচ অনুযায়ী স্টলের দাম নির্ধারিত হয়েছিল বলে জানিয়েছিল বিশ্বভারতী। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, মেলার দিন কমে যাওয়ায় ব্যবসা কম হবে। তাই স্টলের দাম কমানো হোক।