মধ্যমগ্রামে গণধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরীর মৃতদেহ ঘিরে রাজনীতি
দেহ বের করা নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশ ও বাম কর্মী-সমর্থকদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। শুরু হয় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ পুলিশ জোর করে মৃতার দেহ নিমতলা শ্মশানে নিয়ে যায়। মৃতার ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পরিবারকে পুলিশ হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সরকারকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে বামফ্রন্ট : মুকুল রায়
দাহ করার জন্য পুলিশ নিমতলা শ্মশানে নিয়ে যায় মৃতার দেহ। সেখানে পৌছন বাম নেতা রবীন দেব, সুধাংশু শীল,প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আবদুল হামিদ,সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী-সহ বাম কর্মী ও সমর্থকরা। পুলিশ এড়িয়ে সিটুর রাজ্য দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্যাতিতার মৃতদেহ।
নিমতলা শ্মশানে শববাহী গাড়ির ভিতরেই সারারাত পড়ে ছিল কিশোরির মৃতদেহ। পরদিন সকালে বাম নেতা-কর্মী-সমর্থকরা মৃতদেহটি অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শ্মশানে কিন্তু গাড়ির চালক উধাও থাকায় বাম নেতাদের অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ির চালককে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এর পর অন্য একটি ম্যাটাডোরে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যারিকেড করে ম্যাটাডোরটি আটকে দেয়। এর পরই দুই তরফে বচসা বাধে। শুরু হয় ধস্তাধ্বস্তি। কিন্তু পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের আলাপ আলোচনায় সমস্যার সুরাহা হয়।
সকাল সোয়া ১০টা নাগাদ ওই ম্যাটাডোরে করেই শ্যামলবাবুর নেতৃত্বে সিটুর রাজ্য দফতরে কিশোরীর দেহ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সিটুর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্য দফতরে কিছু ক্ষণ রাখার পর অন্ত্যেষ্টির জন্য যাওয়া হবে নিমতলা শ্মশানে।