জনরোষে জ্বলছে থানা, আইসি অপসারণের দাবিতে উত্তেজিত জনতার তাণ্ডব আউশগ্রামে
জনরোষে জ্বলছে থানা। এবার বর্ধমানের আউশগ্রাম। রাজ্যে একের পর এক ঘটনায় জনতার ক্ষোভের মুখে পিছু হটতে হচ্ছে পুলিশকে।
বর্ধমান, ২৮ জানুয়ারি : জনরোষে জ্বলছে থানা। এবার বর্ধমানের আউশগ্রাম। রাজ্যে একের পর এক ঘটনায় জনতার ক্ষোভের মুখে পিছু হটতে হচ্ছে পুলিশকে। শুক্রবারের পর শনিবারও পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল বর্ধমানের আউশগ্রাম। বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও মারধর চালিয়ে অগ্নসংযোগ করে দিল থানায়। আগুন লাগানো হল পুলিশ ভ্যানেও।[জনরোষে চোখের সামনে জ্বলছে থানা, অসহায় পুলিশের কান্নাই সম্বল ]
আউশগ্রামে স্কুলের সামনে বেআইনি নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ ও জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এই ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী-সহ ৪০ জন জখম হয়েছিল। অভিযোগ, স্কুলের জমি বেআইনিভাবে দখলে মদত দিচ্ছে পুলিশ। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি-সহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছাত্রছাত্রীরা থানার সামনে এসে প্রতিবাদ শুরু করে এবং বিক্ষোভ দেখায়। এর পরে তারা রাস্তা অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ সরাতে গেলে শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লাঠি হাতে আক্রমণ করে। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। একেবারে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।
এরপর শনিবার জনতার প্রবল চাপের মুখে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি-সহ তিনজনকে ছেড়ে দেয়। এরপর থানার আইসি অপরসারণের দাবিতে সরব হয় আউশগ্রাম। দফায় দফায় বিক্ষোভ হয় থানা ঘেরাও করে। থানা আক্রমণ করেন স্থানীয় জনতা। পুলিস বাধা দিতে গেলে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। সাত-আটজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। জনতা এরপর পুলিশকে থানা থেকে হটিয়ে ভাঙচুর চালায়। অগ্নিসংযোগ করা হয়। শুধু পুলিশ ভ্যানেই নয়, থানাতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।