বিজেপি-র চারটি সভার অনুমতি দিল না প্রশাসন, রাজ্যপালের দ্বারস্থ দলীয় নেতৃত্ব
বিজেপির চার-চারটি সভার অনুমতি দিল না রাজ্য প্রশাসন। উপায়ান্তর না থাকায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, রাজ্যের শাসকদল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে।
কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জানুয়ারি : বিজেপির চার-চারটি সভার অনুমতি দিল না রাজ্য প্রশাসন। উপায়ান্তর না থাকায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, রাজ্যের শাসকদল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। তাই তাঁদের সভার কোনও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও নানা বাহানা দেখিয়ে তাঁদের কর্মসূচি বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।
এই মর্মেই এদিন রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে তাঁদের অভিযোগ তুলে ধরবেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা। আগামীকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে তিনটি জায়গায় সভা করার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। কিন্তু থানায় আবেদন করা সত্ত্বেও অনুমতি মেলেনি। এমনকী এদিন কাঁচরাপাড়ায় রাহুল সিনহার একটি সভাও বানচাল করে দেওয়া হয়।
খড়গপুরের সভা বাতিল করার ক্ষেত্র পুলিশ প্রশাসনের তরফে সাফাই, ১৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজ্যে আসছেন। তারপর রয়েছে কলেজ ভোট। এখন দিলীপ ঘোষের সভার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। আর কাঁচরাপাড়ায় রাহুলের সভা বাতিল প্রসঙ্গে পুলিশের যুক্তি, যে জায়গায় সভা করা হচ্ছে, সেখানে যানজট তীব্র আকার নিতে পারে। ফলে জনজীবন ব্যহত হবে।
তাই এই সভা বাতিলর না করে বিকল্প জায়গায় সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু রাহুল সিনহা জানান, একবার বিকল্প জায়গার কথা বলা হলেও, তা নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করেনি প্রশাসন। ফলে এদিন তাঁদের সভা বাতিল করে দিতে হয়। দিলীপবাবু দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাইছে তৃণমূল। তাই জয়প্রকাশ মজুমদারের গ্রেফতারি থেকে শুরু করে সভা বানচাল-সর্বত্রই সেই প্রতিহিংসার ছবিই স্পষ্ট হচ্ছে।
মেদিনীপুর পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ১৯ জানুয়ারি দাঁতনে গ্রামীণ মেলা রয়েছে, সেখানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন ২০জানুয়ারি কলেজ ভোট। তাই পর্যাপ্ত পুলিশ তাঁদের হাতে নেই। এই বিষয়টি নিশ্চয় বোঝা উচিত একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের।
বিজেপি পাল্টা অভিযোগ করেছে, ওসব বাহানা, একদিন আগে তাঁর সভা। কেন তা আয়োজন করা যাবে না? আসলে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য যাতে মানুষের কাছে তুলে ধরতে না পারেন, তাই এই ষড়যন্ত্র। পুলিশের পাল্টা, এই মুহূর্তে শ্রীনু হত্যাকাণ্ডের পর খড়গপুর উত্তপ্ত। দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায়। তাঁর সভায় তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দরকার। তাই ইন্দা, মালঞ্চ বা খরিদা- কোনও সভারই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।