মুর্শিদাবাদে শিক্ষক খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়! বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ
মুর্শিদাবাদে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে, ওই শিক্ষকের বাবাকে। একবন্ধুকেও আটক করা হয়েছে। সূত্রের খবর এমনটাই।
মুর্শিদাবাদে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে, ওই শিক্ষকের বাবাকে। একবন্ধুকেও আটক করা হয়েছে। সূত্রের খবর এমনটাই। এখনও পর্যন্ত দুজনকে আটক করেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের বাবা অমল পালের দুটি বিয়ে। ফলে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষক যে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছিলেন তারও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এদিন ঘটনাস্থলে যান সিআইডি আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনের কিনারার পথে তারা। নবমীর রাতে ছয়বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ঠাকুর দেখেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল এবং তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল। এরপর দশমীর দিন ঘর থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর এই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ মনে করছে এই দুজনের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে যোগাযোগ থাকতে পারে এই খুনের পিছনে। শনিবারও বাড়ি ও বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা।
অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, বন্ধুপ্রকাশ পালের বাবা অমল পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক গণ্ডগোলের কথা উঠে এসেছে। জমি নিয়ে মামলায় সম্প্রতি জয়ী হয়েছিলেন বন্ধুপ্রকাশ। এরপরেই ঝামেলা আরও চরমে ওঠে।
পাশাপাশি একবন্ধু অনেক টাকা বন্ধুপ্রকাশ ধার দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
জিয়াগঞ্জ আমিজগঞ্জ পুরসভা এলাকায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানে নতুন বাড়ি তৈরি করছে বসবাস করছিলেন বন্ধুপ্রকাশ পাল। জানা গিয়েছে, জমিটি চিল তাঁর মায়ের কিনে দেওয়া। তাঁদের আদি বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি এলাকায়। সেখানে মৃত শিক্ষকের মা থাকেন। সেখানে গিয়েও খোঁজখবর করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সঞ্জয় সিং। ঘটনাস্থল থেকে আরও বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান হত্যার সময় কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি কেউই। এক্ষেত্রে খাবারের সঙ্গে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ।
দুজনকে
আটক
করে
জিজ্ঞাসাবাদ
করার
পাশাপাশি
দুধ
বিক্রেতা
রাজীব
দাসকেও
জিজ্ঞাসাবাদ
করেছে
পুলিশ।
রাজীব
পুলিশকে
জানিয়েছেন,
প্রতিদিনের
মতো
মঙ্গলবার
দুধ
দিতে
গিয়ে
দরজা
ঠেলতেই
খাটের
ওপর
রক্তাক্ত
অবস্থায়
বন্ধুপ্রকাশ
পালকে
পড়ে
থাকতে
দেখেন।
সেই
সময়
চিৎকার
করে
উঠতেই,
কালো
গেঞ্জি
ও
প্যান্ট
পরা
এক
ব্যক্তি
পিছনের
দরজা
দিয়ে
পালিয়ে
যায়
বলে
দাবি
করেছে
রাজীব।
পুলিশ
সেই
দাবিও
খতিয়ে
দেখছে।