ডাক্তারকে ঘিরে ধরে এবার মারধর পুলিশের! সরকারি চিকিৎসকের আহত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য
এনআরএস কাণ্ডে রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের তুমুল মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২ কর্তব্য চিকিৎসক। ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসকরা বসেন ৬ দিন ব্যাপী ধরনায়।
এনআরএস কাণ্ডে রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের তুমুল মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২ কর্তব্য চিকিৎসক। ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসকরা বসেন ৬ দিন ব্যাপী ধরনায়। আওয়াজ ওঠে, সরকারের তরফে দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত কিছুতেই আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরবেন না আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিয়ে যাবতীয় অশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসেন চিকিৎসকরা। সেই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের রাজ্যে নিগৃহীত এক চিকিৎসক।
রোগীর পরিবার নয়, এবার এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে ঘিরে ধরে মারধর করার অভিযোগ উঠল 'মত্ত' পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল রায়গঞ্জের জামবাড়ি এলাকা। সেখানে ইটাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টের বাইক আটকে দাঁড়িয়ে যায় পুলিশের একটি বাস। চিকিৎসকের দাবি, পুলিশরা মদ্যপ অবস্থায় বাস থেকে নেমেই তাঁদের মারধর শুরু করে দেন।
কিন্তু আচমকা মারধরের কারণ কী? এই প্রশ্নের জবাবে জানা গিয়েছে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিশের বাসকে দ্রুত সাইড দেননি ওই চিকিৎসক। আর তার জেরেই চিকিৎসকদের বাইকের রাস্তা আটকে ঘিরে ধরে চলে মারধর। ঘটনায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক অনির্বাণ সেনগুপ্তকে মারধর করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় । এরপর গ্রামবসীরা এলে আহত চিকিৎসককে হাসপাতালে নিয়ে যান।