রাজারহাটের পাঁচতারা হোটেলে ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন নাট্যকার সুমন মুখোপাধ্যায়
খবর অনুযায়ী, কিছুদিন আগে রাজারহাটের একটি পাঁচতারা হোটেল যান সুমন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ দুজনে একইসঙ্গে রাতে হোটেলে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি ছিলেন না। এই হোটেলে টাকা দেওয়া নিয়ে বচসা হয় সুমন ও হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। হোটেল কর্মীদের অভিযোগ, এরপরেই হোটেলে ভাঙচুর শুরু করেন সুমন। সঙ্গে ছিলেন স্বস্তিকা। হোটেলের কয়েকজন কর্মীকেও সুমন মারধর করেন বলে অভিযোগ।
কোনও মারাত্মক অভিযোগ না থাকলেও সুমনকে জেরা করা হয় টানা ১৬ ঘন্টা, অভিযুক্ত পুলিশও
হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকেই ধাপে ধাপে সুমন মুখোপাধ্য়ায়কে জেরা করেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। রবিবারদিন সন্ধ্যেবেলাই সুমনকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর টানা ১৬ ঘন্টা সুমনকে জেরা করে পুলিশ। আর এখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সুমন মুখোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও খুন বা বিশাল বড় কোনও কেলেঙ্কারির মতো মারাত্মক অপরাধের অভিযোগ নেই সুমনের বিরুদ্ধে যার জন্য তাঁকে টানা ১৬ ঘন্টা থানায় জেরা করে পুলিশ।
একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে সুমন মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও তাঁর সঙ্গী স্বস্তিকার বিরুদ্ধে কোনওরকম অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অথবা সংশ্লিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বস্তিকাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেননি।
এদিকে রবিবার স্বস্তিকাকে নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে স্বস্তিকার বাঁ হাতে আঘাত লেগেছে বলে বোন অজপা টুইট করে। কিন্তু স্বস্তিকার ঘণিষ্ঠসূত্রের খবর দুর্ঘটনা ঘটেছে তাঁর গল্ফ গার্ডেনের বাড়িতে। যদিও পুলিশ আবার বলছে ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের ওই হোটেলটিতে যেখানে সুমন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন স্বস্তিকা। সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, এই দুর্ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগে স্বস্তিকার সঙ্গে সুমনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। ফলে মনে করা হচ্ছে স্বস্তিকার হাতে আচমকা কোনও আঘাত লাগেনি বরং স্বস্তিকা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন।
তবে, এখনও পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশ কিন্তু সুমন মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে স্বস্তিকার আত্মহত্যা চেষ্টায় ইন্ধন দেওয়ার কোনও অভিযোগ আনেননি। তবে এই দুই ঘটনা পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। আজ বারাসত আদালতে তোলা হবে সুমন মুখোপাধ্যায়কে।