শুধু অনুব্রতই নয়, হুমকি দিত পুলিশও, বলছে সাগর ঘোষের পরিবার
বীরভূমের পাড়ুইয়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাগর ঘোষকে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডল হলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা কমিটির সভাপতি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই সাগরবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সিআইডি এই ঘটনার ঢিলেঢালা তদন্ত করায় গত শুক্রবার বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। তার পরই এই তদন্তকারী দলের অফিসাররা কোমর বেঁধে নেমে পড়েন।
গতকাল রাতে সাগরবাবুর পরিবার তদন্তকারীদের জানিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল বারবার হুমকি দিত। বীরভূম জেলায় নিজের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ধরে রাখতে কোনও বিরোধিতা ছিল ওঁর না-পসন্দ। তার পরেও কথা না শোনায় ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে খুন করানো হয় সাগরবাবুকে।
এই ঘটনার পর বেশ কয়েকবার থানা থেকে ডেকে পাঠানো হয় নিহত সাগর ঘোষের পরিবারের লোকজনকে। বলা হয়, অনুব্রত মণ্ডলের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে মিটমাট করে নিতে। সাগরবাবুর স্ত্রী সরস্বতী ঘোষ জানান, "স্বামী খুন হওয়ার পর পুলিশ কখনও আমাদের থানায় ডেকে পাঠাত। কখনও বাড়িতে আসত। বলত, অনুব্রতবাবুর কছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসুন। নইলে খুব খারাপ হবে।" গ্রামের যে দু'জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাগরবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই অনুপ পাল ও চঞ্চল মণ্ডল সাক্ষ্য দিয়েছেন সিট-এর কাছে। বলেছেন, সাগরবাবু বারবার সুব্রত রায় ও ভগীরথ ঘোষের নাম বলেছিলেন। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে পুলিশ ওদের গায়ে হাত দেয়নি।