হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন মোদী, আচার্য হিসেবে দায় নিয়ে ক্ষোভ মেটালেন বিশ্বভারতীর
বিশ্বভারতীর অব্যবস্থায় তৃষ্ণার্ত হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন অতিথি-অভ্যাগতরা। সমাবর্তন উৎসবে জলসংকট তীব্র আকার নেওয়ার আগেই অবশ্য নিজস্ব দক্ষতায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামলালেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বভারতীর অব্যবস্থায় তৃষ্ণার্ত হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন অতিথি-অভ্যাগতরা। সমাবর্তন উৎসবে জলসংকট তীব্র আকার নেওয়ার আগেই অবশ্য নিজস্ব দক্ষতায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামলালেন প্রধানমন্ত্রী। আচার্য হিসেবে বক্তব্য রাখতে উঠেই মাত করলেন নরেন্দ্র মোদী। একেবারে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে এই দায় আমার। মুহূর্তে পড়ুয়াদের রাগ তখন গলে জল। মোদী মোদী চিৎকারে সমাবর্তন উৎসব হয়ে উঠল মাতোয়ারা।
নিছক ক্ষমা চাওয়াই নয়। এই ক্ষমার বাণী তিনি উচ্চারিত করলেন আধো বাংলায়। সকলকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে তিনি বলেন, আচার্য হিসেবে আমি সবার কাছে ক্ষমতা চাইছি। সমাবর্তনের মঞ্চের দিকে যখন আসছি, তখন ইশারায় অনেকেই আমাকে বলতে চেয়েছিলেন পানীয় জলের সংকটের কথা। আপনাদের অনেক অসুবিধা হয়েছে। আচার্য হিসেবে এটা দেখা আমার দায়িত্ব। সেজন্য আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাঁর এই কথার পরই হাততালিতে মুখর হয়ে ওঠে আম্রকুঞ্জ।
[আরও পড়ুন: মোদীর মুখে 'একলা চলা'র বার্তা, গুরুদেবের কর্মভূমিতে ১০০ গ্রাম স্বনির্ভর করার ব্রত ]
এদিন নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনির জেরে দু-ঘণ্টা আগেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে হয় অতিথিদের। সমাবর্তনে যোগ দিতে আসেন বর্তমান পড়ুয়ারা। আসেন প্রাক্তনীরা, বিশিষ্ট অতিথিরাও। তাঁদের জন্য পানীয় জল ছিল অপ্রতুল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তৃষ্ণার্ত হয়ে কাটাতে হয়েছে অতিথিদের। জল না মেলায় আচার্য মঞ্চে আসার সময়ে তাঁরা ইশারায় বুঝিয়ে দেন এই অসুবিধার কথা।
আর সমাবর্তনে বক্তব্য রাখতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে এর লহমায় মন জয় করে নেন বিশ্বভারতীর। বিশ্বভারতীয় আচার্য হিসেবে সব দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন। তারপরই করতালিতে যখন সমাবর্তন ক্ষেত্র মুখরিত, প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আচার্য হিসেবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই যেতে হয়। সেখানে আমাকে দেখা হয় অতিথি হিসেবে। কিন্তু আমি গুরুদেবের কর্মভূমিতে এসেছি আচার্য হিসেবেই। এই বলেই আরও বিশ্বভারতীকে আপন করে নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
[আরও পড়ুন:কর্ণাটকে কুমারস্বামীর আস্থা ভোটের আসরে বিজেপি ছুঁড়ল পাল্টা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ]
তবে সমাবর্তনের পরও এই জলসংকট নিয়ে বিতর্ক থামেনি। বিতর্ক ছড়িয়ে পড়তে থাকে, সমালোচিতও হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কেন দশ হাজার আমন্ত্রতি সদস্য সত্ত্বেও মাত্র ৬ হাজার পাউট আনা হল জলের, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই গরমে জলের সংকটে কিছুতেই দায় এড়াতে পারে না কর্তৃপক্ষ।