বনগাঁর সভায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন জ্যোতিপ্রিয়
বনগাঁয় সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে কয়েকটি সভা পরপর করবেন তিনি। তার মধ্যে একটি সভা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাংলাদেশ সীমান্তের এই এলাকায়।
বনগাঁয় সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে কয়েকটি সভা পরপর করবেন তিনি। তার মধ্যে একটি সভা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাংলাদেশ সীমান্তের এই এলাকায়। শুধু সভা করাই নয়, ঠাকুরনগরে গিয়ে বড়মা বীণাপানি দেবীর সঙ্গে দেখা করে আশীর্বাদও নেবেন তিনি। আসলে মনে করা হচ্ছে, মতুয়া সমাজের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে বিজেপি। আর সেটাই মোদীকে সামনে রেখে করার চেষ্টা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা জানিয়েছেন মতুয়া সমাজের প্রধান বীণাপানি দেবীর নাতি শান্তনু ঠাকুর। তবে এর পাল্টা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, বড়মা দেখাই করবেন না নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, বনগাঁয় মোদীর সভা থাকলেও ঠাকুরনগরে কোনও দলীয় কর্মসূচি নেই। নিখিল ভারত মতুয়া মহাসংঘের অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী মোদী যাচ্ছেন। সেখানে বড়মার সঙ্গে দেখা করে আশীর্বাদ নেবেন। তবে শেষ অবধি প্রোটোকল মেনে তা করা যাবে কিনা এখনও একশো শতাংশ নিশ্চিত নয়।
ঘটনা হল, বীণাপানি দেবীকে সকলে মান্য করলেও তার নিচের পরিবারের লোকজন দুইভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে রয়েছে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের পরিবার। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের পরিবার। দুই পরিবারই নিজেদের সংগঠনের প্রধান বলে দাবি করছেন।
আগে মতুয়াদের ভোট পেত বামেরা। শেষদিকে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে থেকে গত এক দশকে মমতাই বড়মার আশীর্বাদ পেয়ে এসেছেন। এই অবস্থায় বিজেপি চেষ্টা করছে বিভাজনকে আরও চওড়া করে ভোটব্যাঙ্কে সুবিধা পেতে। এখন দেখার শেষ অবধি কারা বেশি ফায়দা লুটতে পারে।