‘ব্ল্যাকবোর্ড’ নয় ‘ব্ল্যাকমানি’ নিয়েছেন শুভেন্দু! ‘জোগানদার’ অধিকারী কটাক্ষ পার্থ-র
‘ব্ল্যাকবোর্ড’ নয় ‘ব্ল্যাকমানি’ নিয়েছেন শুভেন্দু! ‘জোগানদার’ অধিকারী কটাক্ষ পার্থ-র
ট্রান্সফার বা চাকরি তো দূরের কথা, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে একটা ব্ল্যাক বোর্ডও নিইনি। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী এই ভাষাতেই জবাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর চাকরি-বিবৃতির। মঙ্গলবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বিঁধলেন শুভেন্দুকে। তাঁকে জোগানদার অধিকারী সম্বোধনে পার্থ বললেন, তিনি ব্ল্যাকবোর্ড নেবেন কেন, তিনি তো ব্ল্যাকমানি নিয়েছিলেন।
চাকরি বা ট্রান্সফার তো দূর অস্ত একটা ব্ল্যাকবোর্ডও নিইনি
সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিবৃতিতে বলেছিলেন, আমরা লক্ষ লক্ষ চাকরি দিয়েছি ১০০ ভুল হতেই পারে। দাদামণি যে চাকরি দিয়েছেন, তাঁর হিসেব কে নেবে? মেদিনীপুর থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া- দাদামণি চাকরি দিয়েছেন, সিবিআই তাঁদের ধরবে না! তার পরিপ্রেক্ষিতেই শুভেন্দু বলেছিলেন চাকরি বা ট্রান্সফার তো দূর অস্ত একটা ব্ল্যাকবোর্ডও নিইনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে।
ব্ল্যাকবোর্ড নয় ব্ল্যাকমানি নিয়েছেন জোগানদার অধিকারী
এদিন শুভেন্দুর সেই ব্ল্যাকবোর্ড প্রসঙ্গে কড়া জবাব দেন বর্তমানে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ব্ল্যাকবোর্ড শিক্ষার জিনিস, তা নেবেন কেন, শুভেন্দু অধিকারী তো ব্ল্যাকমানি নিয়েছেন। এরপর তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে জোগানদার অধিকারী বলে কটাক্ষ করেন। এবং তাঁর দিকে ছুড়ে দেন বক্রোক্তি।
জোগানদাররা কখনও নেতৃত্বের জায়গায় আসতে পারেন না
শুভেন্দুকে নিশানায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, জোগানদাররা কখনও নেতৃত্বের জায়গায় আসতে পারেন না। তিনি জোগানগদার অধিকারী, তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে যে দাবি করেন, তা ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে অধিকারীদের কেউ চিনতেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে এবং অধিকারীদের চিনেছেন মানুষ।
মমতা না থাকলে সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের আন্দোলন হত না
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন আন্দোলনের এক ও অদ্বিতীয় মুখ। তাঁর নেতৃত্বে যেমন সিঙ্গুর আন্দোলন সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছিল, তেমনই নন্দীগ্রামেও আন্দোলন হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের আন্দোলন ওই পর্যায়ে পৌঁছত না। মমতার জন্যই তা সম্ভব হয়েছে।
বিজু জনতা দল তথা বিজেডির সমর্থন লাভের চেষ্টা
এদিন যশবন্ত সিনহার নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন ১৮ রাজনৈতিক দলের সর্বসম্মতিক্রমে যশবন্ত সিবার নাম বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হওয়ার পর আরও দুটি দল তাঁকে সমর্থন করেছে। এই পরিস্থিতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন বিজু জনতা দল তথা বিজেডির সমর্থন লাভের চেষ্টার কথা।
বিজেপিকে চাপে ফেলার মতো প্রার্থী পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা
তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আশাবাদী যে, বিজেডিও যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করবে রাষ্ট্রপতি পদে। বিজেডির সমর্থন পেলে বিরোধী জোটপ্রার্থী যে জয়ের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন, তা স্পষ্ট। এরপর ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থন আদায় করতে পারলেই কেল্লাফতে। তৃণমূলের সঙ্গে ওয়াইএসআর কংগ্রেস সুপ্রিমো জগনমোহন রেড্ডির সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণে যশবন্ত সিনহাকে সমর্থনের ব্যাপারে তৃণমূল আশাবাদী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচেনে বিজেপিকে চাপে ফেলার মতো প্রার্থী পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা।
রাজ্য সম্পাদকের ওপরে তৃণমূলের প্রভাব! পতাকা পরিবর্তনের বিরোধিতায় বিস্ফোরক প্রাক্তন ফব বিধায়ক