৩০ ফেব্রুয়ারি শুনেছেন কখনও! বদলে যাচ্ছে ‘জাগো বাংলা’র সেই বিরল ক্যালেন্ডার
কোনও কিছু করেই ভোটাভুটি এড়াতে পারল না সিপিএম। প্রসঙ্গ কলকাতা জেলা কমিটি নির্বাচন। সেখানেও আড়াআড়ি দুভাগ সিপিএম। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষেই শুরু ভোটাভুটি।
৩০ ফেব্রুয়ারি। ক্যালেন্ডারে ফলাও করে রয়েছে বিশেষ এই দিনটি। এতদিন 'লিপ ইয়ারে'র সৌজন্যে ২৯ ফেব্রুয়ারি দেখেছেন সবাই। তা বলে ৩০ ফেব্রুয়ারি? নৈব নৈব চ। তবে সেই অসম্ভবও সম্ভব হল তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'র সৌজন্যে। 'জাগো বাংলা'র প্রকাশিত নতুন বর্ষের ক্যালেন্ডারে এবার ফেব্রুয়ারি মাস ৩০ দিনের!
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসই বিভেদের কারণ! 'বুড়ো' নেতারা বাদ, নতুন যুগ শুরু সিপিএমে]
এদিকে 'জাগো বাংলা'র ওই বিভ্রান্তিকর ক্যালেন্ডার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠার পরই ঘুম ভাঙল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের। অবশেষে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বীকার করে নিলেন, 'এটা ভুল হয়েছে। এটা একেবারেই ছাপার ভুল। এই ভুল শুধরে নেওয়াও হবে।' কিন্তু দলের মহাসচিবের এই স্বীকারোক্তির পরও প্রশ্ন উঠছে, কেন ছাপার পরও সবার চোখ এড়িয়ে গেল বিষয়টি। এতবড় ভুল কী করে রয়ে গেল ক্যালেন্ডারে!
তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা' ২০১৮-র ক্যালেন্ডার প্রকাশের পরই বিতর্ক সামনে আসে। এই ক্যালেন্ডারের ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়তি দু'দিন নিয়েই যত বিপত্তি। ক্যালেন্ডারের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৯ ও ৩০ তারিখ থাকাতেই হাসাহাসি শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রসালো পোস্ট শুরু করতে থাকেন বিরোধীরা। এই ঘটনাকে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ক্যালেন্ডার 'ট্রোলড' হয়ে ওঠার পরই আসরে নামেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, 'এটা কোনও কারণে ভুল হয়েছে। নজর এড়িয়ে গিয়েছে। ছাপারই ভুল। আমরা এই ভুল সংশোধন করে নেব।' চরম বিড়ম্বনায় পড়ে নতুন ক্যালেন্ডার প্রকাশ করছে জাগো বাংলা। বইমেলার স্টলে ওই ক্যালেন্ডার বিলি বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই এই ক্যালেন্ডার ছড়িয়ে পড়ছে অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে। অনেক দেওয়ালেই এখন শোভা পাচ্ছে জাগোবাংলার বিরল এই ক্যালেন্ডার। এই ধরনের ভুল যাতে ভবিষ্যতে আর না হয়, সে ব্যাপারেও সাবধানী হতে নির্দেশ দিয়েছেন পার্থবাবু।