নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকের অপসারণের দাবীতে সরব বিরোধীরা
বিরোধীদের আশঙ্কা যে ২৩টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন এখনও বাকি আছে সেখানে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পন্থা অবলম্বন করতে পারে তৃণমূল। সেই সময় ভোটেকেন্দ্রগুলিতে তৃণমূলের অবাধ বিচরণ ছিল বলে তখনও অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। প্রথম দুই দফায় যে ভোটগ্রহণ হয়েছিল, সেখানে কংগ্রেস বা বামেদেরই জোরটা বেশি। এবং ওই কেন্দ্রের আসনগুলিতে তৃণমূল চিরকালই দুর্বল। অন্যদিকে যে আসনগুলিতে তৃণমূল হিংসা করে ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করছে বলে দাবি বিরোধীদের সেখানে বরং কংগ্রেস ও বামেরাই কিছুটা দুর্বল।
বামফ্রন্টের ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভিএস সম্পদের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে দেখা করেন। এবং সুধীর কুমার রাকেশের অপসারণের দাবি লিখিতভাবে তার কাছে জানান।
রাকেশ থাকলে বাংলার নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা, নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ বিরোধীদের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চোধুরি অভিযোগ তোলেন, গত ৩০ এপ্রিল ভোটের দিন গণ্ডগোলের খবর পেয়ে বারবার সুধীর কুমার রাকেশকে ফোনে ধরার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। এমনকী কংগ্রেস কর্মীদের বারবার এসএমএস করা সত্ত্বেও তার জবাব দেননি। রাকেশ যদি বাংলায় থাকে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা ওকে বিশ্বাস করতে পারছি না। তাই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুধীর কুমার রাকেশকে বাংলা থেকে অপসারণের দাবী জানানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যা বিমান বসু নির্বাচনে সুধীর কুমার রাকেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একইসঙ্গে তাঁর অপসারণেরও দাবী জানান। বিমান বসু এদিন বলেছিলেন, পাটনাতে সুধীর কুমার রাকেশ বাঘ, আর কলকাতায় বিড়াল। কেন্দ্রীয় বাহিনী খাচ্ছে-দাচ্ছে মজা দেখছে। ভোট কেন্দ্র থেকে ভোট লুঠ হচ্ছে তাতেও ওদের কিছু এসে যাচ্ছে না।
সুধীর কুমার রাকেশকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। যদিও কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বিরোধী দলের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোটে কেন্দ্র ভোট লুঠের যে সমস্ত ভিডিও ফুটেজ আছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
এদিকে কং-বামেদের মতো সুধীর কুমার রাকেশের অপসারণের দাবি না তুললেও তৃতীয় দফা নির্বাচনের দিন তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপিও। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি রাহুল শর্মা বলেন, আমরা রাকেশের কাছে আবেদন জানাচ্ছি ভোটাররা যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।