ছাড়পত্র নিয়ে বর্ধমানে ব্রিজের উদ্বোধন ২৭ সেপ্টেম্বর! ব্রিজ পড়ে মানুষ মরুক, চান মমতা, বললেন সাংসদ
বর্ধমান স্টেশনের ওপরে চারলেনের রোড ওভার ব্রিজ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার।
বর্ধমান স্টেশনের ওপরে চারলেনের রোড ওভার ব্রিজ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র ছাড়াই মঙ্গলবার ওই ব্রিজটির উদ্বোধন করে দেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিন বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া জানিয়েছেন, ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়মমাফিক ব্রিজটির উদ্বোধন করবেন রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গাদি।
মঙ্গলবার বর্ধমানের কয়েকজন স্থানীয় নেতাকে সঙ্গে নিয়ে নীল রঙের ফিতে কেটে উদ্বোধন করেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় সাংসদ এদিন বলেন, ব্রিজটি তৈরির দাবি করেছিলেন তৎকালীন সিপিএম সাংসদ সইদুল হক। আলুওয়ালিয়া এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন ব্রিজের নকশা উনি অনুমোদন করেছেন। কিন্তু তিনি ভুলে গিয়েছেন, তিনি কবে রেলমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আরও কটাক্ষ দেখে বোঝা যায় না তিনি ব্রিজের ছবিও আঁকেন। তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী কি চান, ব্রিজ পড়ে বর্ধমানের মানুষ মরুক।
সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার আরও অভিযোগ, আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প তাড়াহুড়ো করে উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত ফলক সরিয়ে নিজের নামে ফলক বসিয়েছেন।
স্থানীয় সাংসদ জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে ব্রিজটির উদ্বোধন নিয়ে তাঁর কথা হয়েছিল জুলাই মাসে। কিন্তু নির্মাণকারী সংস্থা সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় চেয়েছিল। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে ব্রিজটি উদ্বোধন করে দেওয়ার পর তিনি বিষয়টি জানান রেলমন্ত্রীকে। পুরো বিষয়টি শোনার পর রেলমন্ত্রী ছাড়পত্র নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ব্রিজটি উদ্বোধন করার কথা বলেন। সেইমতো রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গাদি ব্রিজটির উদ্বোধন করবেন।
ব্রিজটি অনেকটাই হাওড়া ব্রিজের মতো। যেখানে পুরো কাঠামোটি দুটি মাত্র পিলারের ওপর দাঁড়িয়েয ১৯৯৩ সালে ব্রিজটি একবার অনুমোদন পায়। কিন্তু বেশ কিছু কারণের জন্য কাজটি আটকে ছিল। এরপর আবার ২০১১ সালে সেটি অনুমোদন পায়।
যদিও এর আগে পূর্বরেলের তরফে জানানো হয়েছিল, ৩০ সেপ্টেম্বর বর্ধমানের রোড ওভারব্রিজটি উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের আমন্ত্রণের কথাও জানানো হয়েছিল ।