ফের নির্মীয়মান শেড ভেঙে বিপত্তি, শালিমারে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১ কর্মীর, আহত ৫
সাঁতরাগাছি-বারুইপুরের পর আবার ভাঙল স্টেশনের প্লাটফর্ম। এবার হাওড়ার শালিমার স্টেশনে ঘটল এই ধরনের ঘটনা। শেডের নীচে তখন বসেছিলেন বেশ কয়েকজন।
সাঁতরাগাছি-বারুইপুরের পর আবার ভাঙল স্টেশনের প্লাটফর্ম। এবার হাওড়ার শালিমার স্টেশনে ঘটল এই ধরনের ঘটনা। শেডের নীচে তখন বসেছিলেন বেশ কয়েকজন। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল প্লাটফর্মের শেড। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। আহতদের মধ্যে চার-জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় মানুষজন। অভিযোগ, ঘটনার বহুক্ষণ পরে রেল পুলিশ বা রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। রেল পুলিশ ও হাওড়া পুলিশ কমিশানরেট বিক্ষোভ সামাল দেয়। এরপর রেল আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন শেড ভেঙে পড়ার কী কারণ।
এদিন শেড ভেঙে বিদ্যুতের খুঁটিও গুঁড়িয়ে যায়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। অনেক বাইক, সাইকেল চাপা পড়ে যায়। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে উপস্থিত জনতার মধ্যে। এই শেডটি ভেঙে পড়ার সময় অনেক মানুষই উপস্থিত ছিল আশেপাশে। বরাতজোরে অনেকে রক্ষা পান।
প্রত্যক্ষদর্শারী জানান, ছ-জন কর্মী কাজ করছিলেন এই শেডের নীচে। হঠাৎ শেড ভেঙে পড়ায় তাঁরা চাপা পড়ে যান। তিনজন আটকে পড়েন, তিনজন কোনওরকমে বেরিয়ে আসেন। যে তিনজন বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন, তাদের মধ্যে একজন শেডের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁরই মৃত্যু হয়।
[ কলকাতার এই পুজো মণ্ডপে এবছর থাকবে প্রসেনজিতের ফাইবার স্ট্যাচু! আপ্লুত 'বার্থডে বয়']
বাকি দুজন অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন। আর যে তিনজন আটকে পড়েছিলেন, তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। স্থানীয়রাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগান। কেন এই ঘটনা ঘটল, নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তৃণমূলের তরফে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।