উলটপুরান, এবার ED ও CBI আধিকারিকদের তলব করলেন বঙ্গ-বিধানসভার স্পিকার
উলটপুরান, এবার ED ও CBI আধিকারিকদের তলব করলেন বঙ্গ-বিধানসভার স্পিকার
এতদিন সমন পাঠাতে দেখা গিয়েছে সিবিআই-ইডিকে৷ আর হাজিরা দিয়েছেন তৃণমূল নেতার! কিন্তু এবার যেন উলটপুরাণ৷ এবার সমন গেল খোদ তৃণমূল নপতা ও রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সিবিআই-ইডির আধিকারিরকদের উদ্দেশ্যে৷ পশ্চিমবঙ্গের একধিক বিধায়কদের বিরুদ্ধে সারদা ও নারদা মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে CBI ও ED, কিন্তু এবিষয়ে কেন আগে থেকে জানানো হয়নি বিধানসভার স্পিকারকে৷ এই মর্মে কৈফিয়ত তলব করে সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদের ডেকে পাঠালেন রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ সেপ্টেম্বর সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসারদের তলব করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বিমানবাবু বলেন, দুটি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (CBI ও ED) কর্মকর্তারা চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে স্পিকারের কার্যালয় থেকে কেন অনুমতি নেননি তা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, স্পিকারের কার্যালয়কে এ বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেও কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।
CBI এবং ED সম্প্রতি পঞ্জি কেলেঙ্কারি এবং নারদা স্টিং অপারেশন মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েজে এবং তাদের জেরার জন্য ডেকেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মেয়র ববি হাকিমের মতো তৃণমূল শীর্ষ নেতারা!
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বিমানবাবু বলেন, আমি সিবিআই এবং ইডির থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছি কেন বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া এবং তাদের তলব করার আগে স্পিকারের কার্যালয়কে জানানো হচ্ছে না। দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থার সিটি অফিসে একটি করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আমি ইডি এবং সিবিআই অফিসারদের ২২ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় আসার জন্য এবং স্পিকারের কার্যালয়কে কেন কোনও পূর্ব তথ্য দেওয়া হয়নি এবং আমার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে বলেছি।
বঙ্গ বিধানসভার স্পিকারকে না জানানোর বিষয়টি নিয়ে সুখেন্দু শেখর রায় এবং কুণাল ঘোষের মতো তৃণমূল নেতারা বলেন, সিবিআই ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি এমপিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আনা কিংবা কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় লোকসভার স্পিকারকে জানিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলায় বিধায়কদের বিষয়ে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। প্রোটোকল অনুসারে, যে কোনও হাউসের (বিধানসভা, লোকসভা, রাজ্যসভা) প্রধানকে তার সদস্য - এমপি, এমএলএ বা এমএলসি গ্রেপ্তার, আটক বা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে জানাতে হয়৷ সেই নিয়ম কেন মানা হচ্ছে না!