'ধৈর্য ধরে আছি, কতদিন পারব জানি না', রাজীবের পদত্যাগের পর জল্পনা উস্কালেন বৈশালী
'ধৈর্য ধরে আছি, কতদিন পারব জানি না', রাজীবের পদত্যাগের পর জল্পনা উস্কালেন বৈশালী
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজীব জানিয়েছিলেন তিনি দলের সঙ্গে আছেন। কিন্তু তারপরও ফেসবুক লাইভে এসে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন হাওড়ার এই তৃণমূল নেতা তথা পদত্যাগী মন্ত্রী। যোগ দেননি মন্ত্রিসভার পরপর বৈঠকে। ফলে জল্পনা ছিলই। আর এদিন তাঁর পদত্যাগের পর হাওড়ারই তৃণমূলের অপর বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার বক্তব্য ফের জল্পনা উস্কে দেয়। এদিকে, রাজীব ইস্যুতে কুণাল থেকে সৌগতদের বক্তব্য একনজরে দেখা যাক।
'ধৈর্য ধর আছি , কতদিন পারব জানি না'
হাওড়া থেকে পর পর মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন দুই তৃণমূল বিধায়ক। অন্যদিকে বৈশালী ডালমিয়াকে নিয়েও রয়েছে জল্পনা। এদিন হাওড়ার অপর বিধায়ক বৈশালী বলেন, 'এত দেখছি এক ক করে সবাই চলে যাচ্ছে, রাজীবদার পিছনে লাগা হচ্ছিল, জ্বালাতন করা হচ্ছিল। ছোট কথা বলা হচ্ছিল। যাঁরা কাজের মানুষ তাঁদের যদি জ্বালাতন করা হয়, তাহলে কাজ করা অসুবিধা। অনেকেই প্রমাণ ছাড়াই মানুষকে কাদা ছুঁড়ছে। যাঁরা কাদা ছুঁড়ছেন তিনি নিজে কালিমামুক্ত নন। আমি, লক্ষ্মীরতন, রাজীবদা একটা আশা করে এসেছিলাম। আমি ধৈর্য করে আছি। একজন বলছেন যে কিছু যায় আসেনা, তবে যায় আসে।'
বিস্ফোরক বৈশালী!
বৈশালী বার্তা দেন,মানুষকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। একজনের স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে গোটা দলের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। এখনও চেষ্টা করছি। মানুষের কাজ করছি, কতদিন পারব জানিনা । এমনই বলেন বৈশাখী। তিনি জানান তিনি এখনও ধৈর্য ধরে আছেন। তবে কতদিন তা ধরে রাখতে পারবেন তা জানেন না।
কুণালের বার্তা
'ভোট এসে যাচ্ছে তখন এসে ইস্তফা। যদি দল চরম ক্ষমতায় তখন তো এসব হয়নি। যতদিন ক্ষমতা তত দিন মুখ বন্ধ, ভোটে জেতার অগ্নিপরীক্ষা সামনে আসতেই তখনই এমন!' প্রশ্ন তুলেই, কুণাল ঘোষের দাবি ,' ডোমজুর ১০ হাজার ভোটে জিতবে তৃণমূল। হাওড়া থেকে জয়রথ অব্যাহত থাকবে।'
সৌগত রায়ের বার্তা
'নিজে ছেড়েছেন ভালো হয়েছে, নয়তো পদক্ষেপ নেওয়া হত দলের তরফে। উনি যা চাইছেন তা করতে পারব না। উনি হয়তো পদ ফেরত চাইছিলেন। সেচ মন্ত্রীর পদ চাইছিলেন। উনি দল করবেন না অনেকদিন আগেই ঠিক করেছিলেন , তাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসেননি। ' এমনই বক্তব্য রাখেন সৌগত রায়।
'হাওড়ায় ১৬-০ এ জিতব', রাজীবের পদত্যাগের পর হুঙ্কার অরূপের