বাংলায় কি ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা! বিদেশে না গিয়েও সংক্রমিত চার
গোটা দেশেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যাটা। এই অবস্থায় উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ। আর সেই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলছে বাংলার আক্রান্তের সংখ্যাও। একদিনে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও
গোটা দেশেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যাটা। এই অবস্থায় উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ। আর সেই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলছে বাংলার আক্রান্তের সংখ্যাও। একদিনে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও বাড়ছে অন্যদিকে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও ভয় ধরাচ্ছে।
যদিও আজ বুধবার প্রশাসনিক সভা থেকে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ওমিক্রন নিয়ে তাঁর বার্তা, ওটা বেশি ছড়াচ্ছে, কিন্তু ভয়ের কিছু নেই। তবে থার্ড ওয়েভ যে আসতে পারে তা কার্যত স্বীকার করে নেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১। এক ধাক্কায় এই সংক্রমন বেড়ে গিয়েছে। যা যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের কপালে। তবে সব থেকে যে বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে তা হল বিদেশে না গিয়েও মানুষ বাংলায় ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পাঁচজন নতুন করে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে চার জনের বিদেশে যাওয়ার কোনও ইতিহাসই নেই। এমনটাই দাবি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যে চারজন ওমিক্রন হয়েছেন তাঁদের ২ জন কলকাতার বাসিন্দা, ১ জন দমদমের, ১ জন হাওড়ার বাসিন্দার। এঁদের কেউই বিদেশ যাননি। তাহলে এঁরা কীভাবে সংক্রমিত হলেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তাহলে কি বাংলায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে? সেই সন্দেহ উড়িয়ে দিতে পারছেন না চিকিৎসকদের একাংশ। তবে অন্য একাংশের মতে এই বিষয়ে আরও বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন। যদিও পুরো পরিস্থিতির উপর কড়া স্বাস্থ্যভবনের তরফে নজর রাখা হচ্ছে।
রাজ্যে নতুন করে যে পাঁচজন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন এঁদের মধ্যে একজন গত কয়েকদিন আগে বিদেশ থেকে ফিরেছেন। জ্বর ছিল। তাঁর জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করলে দেখা যায় ওই ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত। উল্লেখ্য, রাজ্যের তরফে মোট ১০৭ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচজনের নমুনায় ওমিক্রন ধরা পড়েছে। তবে আরও বেশ কয়েকটি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্যে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন আগে ওমিক্রন ঠেকানোর জন্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত তা দেখতে একটি বৈঠক করে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে নোডাল হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহার করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের সার বেসরকারি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যারা বাংলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করে থাকে তাঁদেরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।