আপাতত গোর্খাল্যান্ড নয়,আলোচ্যসূচিতে শুধুই জিটিএ,সুর নরম মোর্চার
"আলোচ্যসূচিতে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থাকছে না"
পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে আলাদা রাজ্য চেয়ে বরাবরই গলা ফাটিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বা জিজেএম। সম্প্রতি তাদের দাবি পরিষ্কারভাবে খারিজ করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পাহাড়ে উন্নয়নের ইস্যুতে আলোচনা চলতেই পারে। কিন্তু, রাজ্য ভাগ হবে না। কড়া মনোভাব নেয় প্রশাসনও। এরপরই মোর্চা সমঝোতার রাস্তায় হাঁটে। তারা যে সত্যি সমঝোতা করতে চাইছে, এদিনের কথাতেই তা পরিষ্কার। হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেছেন, "গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-কে আরও কতটা কার্যকর এবং শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়েই আমরা আলোচনা করব। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যে বৈঠক হবে, তার আলোচ্যসূচিতে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থাকছে না।" একই কথা বলেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তিনি বলেন, "আমরা বৈঠকে মূলত জিটিএ নিয়েই আলোচনা করব।" বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং-ই চাইছেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলতে। কারণ, তিনি বুঝেছেন, লাগাতার আন্দোলন করে পাহাড় অচল করে দিলে সেখানকার মানুষের রুটি-রুজিতে প্রভাব পড়বে। এর জেরে তাদের জনসমর্থন কমে যাবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ নভেম্বর রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে জিজেএম। রাজ্যের তরফে থাকবেন মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র এবং স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের দিন, অর্থাৎ ২১ নভেম্বর একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। তাতে রাজ্য এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব কে স্কন্দন।