লক্ষ্য বিহারের কুর্সি, লালুপ্রসাদের পরিবারকে টার্গেট করে ভোট-প্রচারে ঝড় নীতীশের
চির-প্রতিদ্বন্দ্বী লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারকে কেন্দ্র করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পরিকল্পনা শুরু করে দিলেন নীতীশ কুমার।
চির-প্রতিদ্বন্দ্বী লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারকে কেন্দ্র করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পরিকল্পনা শুরু করে দিলেন নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তার প্রচার শুরু করলেন ডিজিটাল সমাবেশের মাধ্যমে। আরজেডি সরকারের ১৫ বছরের সঙ্গে তিনি তুলনা করলেন তাঁর আমালের ১৫ বছরের। শুরু হয়ে গেল প্রচার-যুদ্ধ।
নীতীশ কুমার লালুপ্রসাদের আত্মীয় তথা দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চন্দ্রিকা রাইকে জেডিইউতে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। যার জেরে লালু যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবের মুখোমুখি হতে পারেন তাঁর স্ত্রী তথা চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ে ঐশ্বর্য রাই। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁদের কথা সমাবেশে উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন সে কথা।
নীতীশ বলেন, গত মাসে জনতা দল ইউনাইটেডে যোগ দেওয়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দারোগাপ্রসাদ রাইয়ের নাতনি এবং চন্দ্রিকা রায়ের মেয়ে ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবার কী করেছেন একবার দেখুন। আসন্ন নির্বাচনে তাঁকে ভোট ময়দানে নামানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, "আমরা ঐশ্বর্যকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরব, তুলে ধরব কীভাবে আরজেডির সুপ্রিমো পরিবার তাদের অপমান করেছিল।
তেজপ্রতাপ যাদব এবং তাঁর স্ত্রী বিয়ের ছয় মাস পরে আলাদা হয়ে যান। ঐশ্বর্য রাই তারপরও বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। এরপর তিনি তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ এনে পাটনা পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর দাবি, তাঁর শাশুড়ি রাবরী দেবী তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদে বাধ্য করেছেন এবং বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।
এরপর চন্দ্রিকা রাই লালু যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ছেড়ে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডে যোগ দেন। নীতীশ কুমারের দলে যোগদানের পর তিনি বলেন যে, তিনি রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে চান। চন্দ্রিকা রাই কংগ্রেস নেতা দারোগা প্রসাদ রাইয়ের পুত্র। তিনি সত্তরের দশকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।