কখন করবেন করোনার পরীক্ষা? একাধিক নির্দেশ স্বাস্থ্যদফতরের! বাড়ল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। একাধিক রাজ্যকে পিছনে ফেলে পজিটিভিটি রেটে শীর্ষে বাংলা। কলকাতা সহ একাধিক জেলাতে বাড়ছে সংক্রমণের হার। যা রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে। এই অবস্থায় গঙ্গাসাগরকে ঘিরে অনেকাংশেই আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। একাধিক রাজ্যকে পিছনে ফেলে পজিটিভিটি রেটে শীর্ষে বাংলা। কলকাতা সহ একাধিক জেলাতে বাড়ছে সংক্রমণের হার। যা রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে। এই অবস্থায় গঙ্গাসাগরকে ঘিরে অনেকাংশেই আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে।
এমনকি সুপারস্প্রেডার হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় চার পুরসভায় পুরভোট হওয়া নিয়েও একটা অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে।
তবে এই সবের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যদফতর।
গত কয়েকদিন আগে কোন কোন ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন, আর কোন ক্ষেত্রে নয়, সেই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা সামনে নিয়ে আসে আইসিএমআর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল করোনা আক্রান্তের কাছে আসলেও যাদের ঝুঁকি কিংবা অন্যান্য কোমর্বিটি নেই তাঁদের পরীক্ষা করার দরকার নেই বলে জানানো হয়। শুধু তাই নয়, পয়েন্ট করে একেবারে নিয়মগুলি আইসিএমআরের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।
কার্যত সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য দফতরও করোনা পরীক্ষা কখন করা উচিৎ সে বিষয়ে বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করল। আর প্রকাশিত গাইডলাইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, কাশি, সর্দি সহ করোনার উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা করার কথা স্পষ্ট বলা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে যে, বয়স্ক, বিশেষ করে যাদের ৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তাঁরা যদি কোনও ভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি আসেন তাঁদের অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করা উচিৎ। এমনকি শারীরিক কোনও উপসর্গ না থাকলেও অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তিকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবেই।
হোম আইসোলেশন সংক্রান্ত নিয়ম মানার পর যদি কেউ রাস্তায় বের হয় তাহলে তাঁর আর করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই বলেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, নতুন করে রাজ্যে ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার। কলকাতাতে ভয়ঙ্কর ভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। সেখানে দাঁড়িয়ে ফের একবার কলকাতায় বাড়ল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। গত কয়েকদিন ধরে ধীরে ধীরে কমছিল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। প্রায় ২৯-এ নেমে এসেছিল।
কিন্তু নতুন করে ফের একবার বেড়ে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা হয়েছে ৪৩। কলকাতা পুরসভা সুত্রের খবর-৩ নম্বর বরোতে ৪টি। ৪ নম্বর বরো ৪ টি, ৭ নম্বর বরো ৪টি, ৯ নম্বর বরোতে ২টি, ১০ নম্বর বরোতে ১০টি, ১২ নম্বর বরোতে ১১টি, ১৪ নম্বর বরোতে ৩টি এবং ১৬ নম্বর বরো ৫ টি আক্রান্তের কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষ হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে। নম্বরটি হল - ২২৮৬-১২৩৮।