লোকসভা বিপর্যয়ের পর রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, কারা পেলেন কোন পদ?
লোকসভা ভোটে বিপর্যয় ও রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ভাঙ্গনের মাঝেই এবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
লোকসভা ভোটে বিপর্যয় ও রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ভাঙ্গনের মাঝেই এবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। দলীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি মন্ত্রিত্বের পদে বদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গ এবং মেদিনীপুর সহ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও তৃণমূল অত্যন্ত খারাপ ফলাফল করেছে।
সুব্রত ফিরছেন
লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলা থেকে লড়েছেন সুব্রত। সেখানে বিজেপির কাছে হেরেছেন। দিন দুয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় যেভাবে ভোটের আগে পঞ্চায়েত দপ্তর সামলাচ্ছিলেন সেভাবেই ফের একবার পঞ্চায়েত দপ্তর তিনি সামলাবেন। ফলে নিজের পুরনো পঞ্চায়েত দপ্তরে সুব্রত ফিরছেন। এছাড়াও রাজ্যের মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকটি রদবদল হল।
পদ খোয়াবেন রবীন্দ্রনাথ?
শোনা গিয়েছিল উত্তরবঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেবের উপর সরাসরি কোপ পড়তে চলেছে। এই দুজন মন্ত্রিত্ব খোওয়াতে পারেন। এর পাশাপাশি হুগলি জেলার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তও পদ হারাতে পারেন। তবে এখনও এই নিয়ে কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। যদিও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন শান্তিরাম মাহাতো। তাঁর কোনও দপ্তর রইল না। বনমন্ত্রী ছিলেন বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। তাঁরও কোনও দপ্তর থাকল না।
দুশ্চিন্তা হুগলিতেও
হুগলি জেলায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে এবার এই আসনটি বিজেপি দখল করেছে। উত্তরবঙ্গ একইভাবে তৃণমূলের ঘরে বিজেপি হানা দিয়েছে। পঞ্চায়েত দপ্তর ছাড়া সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীকে পরিবহণ দপ্তরের পাশাপাশি দেওয়া হল সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর।
কারা পেলেন কোন পদ
ব্রাত্য বসু পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্বের পাশাপাশি নতুন পেলেন বন মন্ত্রক। এই দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হল সুজিত বসুকে। সুজিত বসুর হাতে দমকল দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব যেমন ছিল তেমন থাকছে। সৌমেন মহাপাত্রকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও শুভেন্দু অধিকারীর হাতে থাকা পরিবেশ দপ্তর দেওয়া হল সৌমেন মহাপাত্রকে। রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের পাশাপাশি আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর দেওয়া হল। মলয় ঘটকের হাতে থাকল শুধু শ্রম ও আইন দপ্তর।