বাংলায় ধর্ষণের ঘটনা কমলেও, বেড়েছে অপহরণ, বলছে NCRB-র রিপোর্ট কার্ড
কলকাতা, ৩১ আগস্ট : মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ক্রমশই বাড়ার জেরে রাজ্যবাসীর উদ্বেগের শেষ নেই। তবে সম্প্রতি এনসিআরবি (ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো) রিপোর্ট কার্ড এই চিন্তার কিছুটা হলেও অবসান ঘটাবে তা নিশ্চিত।
একটা সময় ছিল যখন বাংলায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছিল। তবে স্বস্তির বিষয় গত একবছরে সেই সংখ্যা সামান্য কিছুটা হলেও কমেছে। শুধু ধর্ষণ নয়, খুন, ডাকাতির সংখ্যাও অনেকটাই কমেছে রাজ্যে। তবে খুনের চেষ্টা বা অপহরণের মতো অপরাধমূলক সংখ্যা আবার সামান্য বেড়েছে। [ভারতের অসুরক্ষিত শহরের তালিকার প্রথম সারিতেই কলকাতা]
রাজ্যের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে যেখানে খুনের চেষ্টার ঘটনা ৭,২৪৮ ছিল। সেখানে ২০১৫ সালে তা একধাপে বেড়ে হয়েছে ৯,৯১৮। বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে যেখানে অপরাধের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বেশি সেখানেও ২০১৫ সালে যথাক্রমে ৬,৩৫২ এবং ৪,৮৯৭ মামলা রুজু হয়েছে।
তবে ভবানীভবনের আধিকারিকরা এই তথ্য মানতে নারাজ। তাদের কথায় পুরো বিষয়টা এত সরল ভাবে সংখ্যার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। অনেকসময় কেটে ছিঁড়ে গেলেও অনেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করে দেওয়া হয়। কিন্তু চার্জশিট যখন ফাইল করা হয়, তার প্রভাব এনসিআরবি-র তথ্যে পড়ে না।
অপহরণের ঘটনা খুব সামান্য বেড়েছে। ২০১৪ সালের ৬,১১০ এর তুলনায় ২০১৫ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬,১১৫। কিন্তু খুনের ঘটনা কিছুটা কমেছে। ২০১৪ সালে খুনের ২২১৭টি মামলার তুলনায় ২০১৫ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২০৯৬। ২০১৪ সালের তুলনায় ডাকাতির ঘটনাও ৫৮৭ থেকে কমে ৫০৮ হয়েছে।
কলকাতার ক্ষেত্রে দেখতে গেলে অসুরক্ষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে এই শহরে খুনের চেষ্টার ঘটনায়। খুনের চেষ্টার ঘটনার সংখ্যায় সামান্য উন্নতি হয়েছে, ১০১ থেকে বেড়ে তা ১১১ হয়েছে। কিন্তু তবু যদি অন্য শহরের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায় এই সংখ্যা কিছুই না।