ম্যাথু কোথা থেকে এত টাকা পেলেন, কেন তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা হবে না? প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদের
সকাল থেকে উত্তেজনা! কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে রাজ্যের দুইমন্ত্রী এবং এক বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআই। একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হল গোটা এলাকা। আগে থেকে প্ল্যান করেই গ্রেফতার করা হল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফ
সকাল থেকে উত্তেজনা! কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে রাজ্যের দুইমন্ত্রী এবং এক বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআই। একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হল গোটা এলাকা।
আগে থেকে প্ল্যান করেই গ্রেফতার করা হল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর এরপর থেকেই উত্তাল বাংলা।
তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যে প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের দাবি, বাংলায় বিজেপি তাদের হার মেনে নিতে পারছে না। আর সেই কারণে এভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মুকুল-শুভেন্দুর নাম না থাকা নিয়েও প্রশ্ন শাসকদলের।
অন্যদিকে, বিজেপির দাবি কখনই তাঁরা তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে না। আর মুকুল-শুভেন্দুর নাম না থাকা নিয়ে বিজেপির দাবি তৃণমূলের একাধিক সাংসদের নামও নেই সেই তালিকাতে।
আর এই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রীদের গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন আর এক অভিযুক্ত। মুখ খুলেছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
তাঁর পালটা দাবি, নারদ-কাণ্ডে কেন নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে গ্রেফতার করা হবে না। তিনি অর্থাৎ ম্যাথু স্যামুয়েল কোথা থেকে এত টাকা পেলেন? এটা তাঁকে কেন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না?" প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের এই সাংসদের।
রাজ্যের দুই মন্ত্রী তৃণমূল সাংসদ বলেন, "আমাকে যতবার সিবিআই ইডি ডেকেছে গিয়েছি। আবার ডাকলে আবার যাব।" এর পর তিনি এদিনের গ্রেফতারের পিছনে বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
অপরূপা বলেন, "আসল কথা হল, বিজেপি বাংলায় হারকে হজম করতে পারছে না। তাই এই মহামারির সময় করোনা নিয়ে কাজ করার বদলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এসব করছে।"
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিজেপি সরকারের কথাতেই চলে বলে অভিযোগ করেন অপরূপা। নাম না করে মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে ইঙ্গিত করে অপরূপার কটাক্ষ, "যারা জামা পাল্টেছে, শিবির বদল করেছে তারা পরিষ্কার। আর যারা করেনি তারা খারাপ। তৃণমূলকে ভয় দেখানো হচ্ছে,আমাদের নেত্রী লড়াই এর মধ্যে দিয়ে এসেছে। আমরা ফেস করতে রাজি।"
উল্লেখ্য, সকাল থেকে নারদা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সকাল সকাল তিন বিধায়ক এবং শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই। একের পর এক তৃণমূল নেতাকে আটক করে নিয়ে আসা হয় নিজাম প্যালেসে।
এরপরেই নিজাম প্যালেসে ছুটে আসেন তৃণমূলের একের পর এক আইনজীবী। আসেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিন্দ রাউতের মতো নেতারা। খোদ সিবিআই অফিসে চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পড়ায় ছয় ঘন্টা সিবিআই দফতরে কাটান তিনি। এরপর সেখান থেকে চলে যান তিনি।
তবে দিনের শেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে জিত হয় তৃণমূলেরই। জামিন পান ধৃত চারজন। কার্যত মুখ থুবড়ে পড়বে সিবিআইয়ের সওয়াল।