বরাবর সত্যের জয় হয়েছে! রায় শুনেই ঘনিষ্ঠমহলে বললেন সুব্রত, জামিন পেলেও ছাড়া পাচ্ছেন না মদন মিত্র
অবশেষে মিলল জামিন। শর্তসাপেক্ষে মিলল জামিন। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি শর্ত দেওয়া হয়েছে কলকাত
অবশেষে মিলল জামিন। শর্তসাপেক্ষে মিলল জামিন। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি শর্ত দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। আদালতের শর্ত অনুযায়ী নারদমামলা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন না হেভিওয়েটরা।
শুধুমাত্র নারদ মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য বা সাক্ষাৎকার নয়। সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য বা সাক্ষাত্কার নয়। কোনও তথ্য প্রমাণ বিকৃত করা চলবে না। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
এই খবর চারজনের কাছে যেতেই স্বস্তি!
দীর্ঘ আইনি লড়াই। অবশেষে মিলল জামিন। নারদে জামিন মঞ্জুর হতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ফিরহাদ, শোভন, সুব্রত এবং মদন মিত্র। শুক্রবার সকাল থেকেই টেনশনে ছিলেন চারজনই। নজর ছিল টিভির দিকে। এদিন মামলার শুনানি শুরু হতেই শুরু হয় আইনি লড়াই। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বললেন, ''আমি নিবেদন করছি জামিন দেবেন না।'' মেহতার কথায়, ''৪ নেতা-মন্ত্রী প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন হলে মানুষের ভাবাবেগকে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।'' তাছাড়া জামিন হলে ''মূল বিষয়টি ঠান্ডা ঘরে চলে যাবে'' বলেও বেঞ্চকে জানালেন তিনি। তবে আদালত জানায়, আমরা মূল মামলা শুনব। তবে জামিন মিলতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চার অভিযুক্তই।
ছাড়া পাচ্ছেন না মদন মিত্র
নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। শুক্রবার ওই মামলায় হাই কোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু জামিন পেলেও আপাতত হাসপাতালেই থাকতে হবে অসুস্থ মদনকে। আগামী সপ্তাহে তাঁর রক্ত এবং এক্সরে রিপোর্ট দেখার পরেই মদনকে ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মদনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখনও মদনের বুধ ধড়ফড়ানি কমেনি। দরকার পড়ছে অক্সিজেনেরও। তাই আরও কিছু দিন উডবার্ন ওয়ার্ডেই থাকতে হবে তাঁকে। আগামী সপ্তাহে তাঁর রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি বুকের এক্সরে করা হবে। সেই সব রিপোর্ট দেখার পরেই মদনকে ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা!
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন জামিন পাওয়ায় স্বভাবতই শিবিরে খুশির হাওয়া। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর এ ভাবে গৃহবন্দি হয়ে থাকার বিষয়টা খুব একটা অভিপ্রেত ছিল না তৃণমূলের কাছে। এ দিন জামিন পাওয়ার পর অন্যতম অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক লড়াইতে এ ভাবেই বরাবর সত্যের জয় হয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই হবে। এই জামিনকেও সত্যের জয় বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর দাবি, প্রথম থেকেই এই বিষয়টা রাজনৈতিক লড়াই বলেই মনে করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছেন, নেহেরু-নেতাজির মতো মানুষরা অত্যাচারিত হয়েছেন, আর আমরা কি ছাড়।
চার নেআর গৃহবন্দি থাকতে হবে নাতা-মন্ত্রীকে
এই রায়ের পর চার অভিযুক্তকে আর গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হবে না। গত কয়েকদিন ধরেই বাড়িতে বসেই কাজ করছিলেন ফিরহাদ। জানা যাচ্ছে, এই রায়ের পর খুব শিঘ্রই নিজের দফতরে ফিরবেণ। অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা মিটলেই নিজের দফতরে গিয়ে কাজ শুরু করবেন তাঁরা। এমনটাই জানা গিয়েছে।