'মুখ বন্ধ করতে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেবে বলেছিল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়', বিস্ফোরণ নম্রতার
নম্রতা দত্ত এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না ভালোবাসার মানুষ এমন হয়। তাঁর এখনও বিশ্বাস যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক টিকে যাবে। এদিকে নম্রতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ঋতব্রত।
দিন কয়েক ধরেই নম্রতা দত্ত ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। এরই মধ্যে রবিবার ঋতব্রতর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নম্রতার সম্পর্কের খবর ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নম্রতার বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় এফআইআরও করেছেন বলে জানিয়েছেন ঋতব্রত। অভিযোগপত্রে নম্রতার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল-এর অভিযোগ এনেছেন বহিষ্কৃত এই সিপিএম সাংসদ। এই ঘটনা পরম্পরা নিয়ে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা মুখোমুখি হয়েছিল নম্রতার। এই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ফের একবার ঋতব্রতর বিরুদ্ধে যেন বিস্ফোরণ ঘটালেন নম্রতা। কী বলছেন নম্রতা? পড়ুন সেই কাহিনি---
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- আপনার বাক্য বিস্ফোরণে কিন্তু এফআইআর দায়ের করেছেন ঋতব্রত। এমনকী, আপনার বিরুদ্ধে 'ব্ল্য়াকমেল'-এরও অভিযোগ আনা হয়েছে! কী বলবেন আপনি?
নম্রতা-- গড়ফা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে সেটা দেখেছি। আমি একটা বিষয় পরিস্কার করে দিতে চাই 'ব্ল্যাকমেল'-এর অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। কোনও অর্থ চাইনি। বরং মিডিয়ার সামনে মুখ না খোলার জন্য আমাকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল ঋতব্রত। প্রথমে ফোন করে এই প্রস্তাবটা দিয়েছিল। তারপরে হোয়াটস অ্যাপ করে।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- ঋতব্রত টুইটারে হোয়াটস অ্য়াপ-এর বেশকিছু কথোপকথনকে সামনে এনেছেন। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে টাকা কবে অ্যাকাউন্টে আসবে তা আপনি জিজ্ঞেস করছেন।
নম্রতা-- ওকে বলুন অর্ধেক মেসেজ না দেখিয়ে পুরো মেসেজ দেখাতে। আর ও যখন আমাকে ৫০ লক্ষ টাকা মুখ বন্ধ রাখার জন্য দিতে চেয়েছিল তখন আমি আরও রেগে যাই। আমি জানতে চেয়েছিলাম কী ভাবে ও টাকাটা দেবে? তখনই বলেছিল ১৫ অক্টোবর এই টাকা দিয়ে দেবে। আমিও রেগে গিয়েই বলে দেই ১৫ তারিখের মধ্যে টাকা না পেলে এফআইআর করব। ওকে বলুন অর্ধেক মেসেজ না দেখিয়ে পুরোটা সামনে আনতে।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- ঋতব্রত 'ব্ল্যাকমেলিং'-এর যে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ দেখিয়েছেন তার শেষে দেখা যাচ্ছে আপনি একটা স্মাইলিও দিয়েছেন! যার উপরে এত রেগে আছেন, যে আপনাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছে বলে অভিযোগ করছেন, সেখানে মেসেজের শেষে স্মাইলি! আপনার এমন অদ্ভুত আচরণ কেন?
নম্রতা-- আমি এখনও বলছি, ওর সঙ্গে যে ভাবে আমার যোগাযোগ স্থাপন হয়েছিল তাতে আমি সত্যি সত্যি ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম, এখনও ভালোবাসি। আমি চাই ও আমাকে বিয়ে করুক। তাই ভেবেছিলাম যে মানুষটাকে ভরসা করে নিজেকে সঁপে দিলাম যদি সে আমার রাগটাকে বুঝতে পারে। আর পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ও দেবে কোথায় থেকে। সেটা আমি ভালমতোই জানতাম। তাই কটাক্ষের ছলেই 'স্টে হ্যাপি' বলে একটা স্মাইলি দিয়েছিলাম।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- কবে বুঝতে পারলেন যে এ সম্পর্ক আর জোড়া লাগার নয়?
নম্রতা-- আজ থেকে ঠিক চার-পাঁচ দিন আগে। ঋতব্রত-র অবহেলা আর নিতে পারছিলাম না। ওর একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস-এ আর ভরসা রাখতে পারছিলাম না। তারমধ্যে দিন তিনেক আগে দূর্বা সেনের হুমকি দেওয়া ফোনটা আসে। এরপরই ঋতব্রতকে আমি ব্লক করে দেই। এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত কিছু শেয়ার করি। ভেবেছিলাম ঋতব্রত ঘণিষ্ট এই বিষয়গুলি জানার পর ওকে বোঝাবে।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- একটা মানুষের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হল আর প্রেমে পড়ে গেলেন! নির্ভর করার আগে মানুষটাকে যাচাই করেছিলেন?
নম্রতা-- আমার ছোটবেলা কেটেছে বালুরঘাট শহরে। এখানে আত্রেয়ী ইংলিশ মিডিয়ামে বারো ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করেই বেঙ্গালুরুতে পড়তে চলে যাই। সেখানে আমি একটি আইটি ফার্মে প্রোফেশনাল হিসাবে কাজ করি বেশ কয়েক বছর। বলতে গেলে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য-রাজনীতি নিয়ে আমার কোনও ধ্যান ধারনাই নেই।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- তাহলে ঋতব্রতর সঙ্গে আলাপ হল কী করে?
নম্রতা-- আমার সঙ্গে আলাপ টুইটারে। ২০১৬ সালে। সেই আলাপ আস্তে আস্তে গভীরতা পায়। কয়েক মাসের মধ্যেই ও নিজে আমার দিল্লি যাওয়ার বিমানের টিকিট কাটে। ঋতব্রতর দিল্লির ফ্ল্যাটেই আমি উঠি। সেখানেই ওর সঙ্গে দিন কয়েক ছিলাম। দিল্লির এই ফ্ল্যাটেই ঋতব্রত ও আমি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হই। আমার মনে হয়েছিল যাকে আমি বিয়ে করব তার সঙ্গে এমন সম্পর্ক অনৈতিক কিছু নয়। আর ঋতব্রত নিজেও আমাকে বারবার বিয়ের কথা বলত।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- বালুরঘাট এসবিআই শাখায় ঋণ নেওয়ার সুবিধা করে দিয়েছিলেন ঋতব্রত। এমন দাবিও তিনি এফআইআর-এ করেছেন।
নম্রতা-- আমি নেদারল্যান্ডসে পিএইচডি করার সুযোগ পাই। এর জন্য আমার এডুকেশন লোন-এর দরকার ছিল। বালুরঘাট এসবিআই শাখায় এই ঋণ পেতে দেরি হচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবেই মনটা ভালো ছিল না। ঋতব্রত এই ঋণের কথা জানতে পেরে আমাকে সাহায্য করতে নিজে থেকেই উদ্যোগী হয়। ওর সুপারিশেই আমার ঋণ পেতে আর কোনও অসুবিধা হয়নি।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- ঋতব্রত-র দাবি আপনি সাহায্য চেয়েছিলেন। উনি নিজে থেকে সাহায্য করতে চাননি।
নম্রতা-- ঘটনার সমস্ত তথ্য-প্রমাণ আছে। মেসেজ বক্সের চ্যাট, টুইট দেখলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- সম্পর্ক কি দিল্লির ফ্ল্যাট পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল?
নম্রতা-- কখনই নয়। দিল্লির ফ্ল্যাটের পর ঋতব্রত ও আমি বহুবার একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি। ২০১৬ সালে ঋতব্রত নেদারল্যান্ডসে আসে। এর জন্য আমাকে রাতদিন চাপ দিত। কারণ, ঋতব্রত-র নেদারল্যান্ডস আসা থাকা, এমনকী বিমানের ভাড়া পর্যন্ত আমি দিয়েছিলাম। ঋতব্রতর অ্যাকাউন্টে ঊনপঞ্চাশ হাজার টাকার একটা চেকও দিয়েছি। তার সমস্ত তথ্য আছে। আমার বা ওর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করলেই তা সামনে আসবে।
[আরও পড়ুন- অর্ধনগ্ন হয়ে নারীসঙ্গে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি নিয়ে হইচই]
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিবাহিত সে কথা জানতেন না?
নম্রতা-- জানতাম। কিন্তু, সেটা অনেক পরে। ততদিন আমি মানুষটার প্রেমে ভেসে গিয়েছিলাম। আর ঋতব্রতও এমন এমন আবেগের কথা বলত যে ওকে অবিশ্বাস করতে পারতাম না।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- কবে জানতে পেরেছিলেন এবং কী করেছিলেন তারপরে?
নম্রতা-- বিষয়টি জানার পরই আমি চেপে ধরেছিলেন। ঋতব্রত স্বীকার করেছিল যে সে বিবাহিত। কিন্তু, সেইসঙ্গে জানিয়েছিল, স্ত্রী ঊর্বা চৌধুরীর সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্কই নেই। ডিভোর্স দিতে চলেছে। বিয়ের প্রথম দিন থেকে ঊর্বার সঙ্গে নাকি তার কোনও শারীরিক সম্পর্কই ছিল না বলে ঋতব্রত দাবি করত। এমনকী, স্ত্রী হিসাবে স্বামীর যৌন আকাঙ্খা মেটাতে ঊর্বা অক্ষম ছিলেন বলেও ঋতব্রত আমার কাছে দাবি করেছিল। ঊর্বাকে দেখে ঋতব্রত-র মধ্যে কোনও যৌন চেতনাই নাকি আসত না। ঋতব্রতকে বলেছিলাম আমার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিতে। কিন্তু, ঋতব্রত আত্মহত্যার হুমকি দেয়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন!
নম্রতা-- হ্যাঁ, ঋতব্রতর কাছে তিন মাসের ঘুমের ওষুধ থাকে সবসময়। সাংসদের কোঠায় ১৮০টা ঘুমের ওষুধ পায় সে। 'ডিপ স্লিপ'-এর জন্য ওকে ঘুমের খেতে হয় বলে বলেছিল। আমি যদি বলতাম এই সম্পর্ক রাখার কোনও অর্থ নেই। ভেঙে দিলেই ভালো। তখনই বলত- তুই আমাকে ছেড়ে চলে গেলে তিন মাসের ঘুমের ওষুধ একসঙ্গে খেয়ে নিয়ে মরে যাব।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- একজন শিক্ষিত-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হিসাবে এগুলি যে নাটক তা বুঝতে পারেননি?
নম্রতা-- আসলে ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতাম যে ও নাটক করছে। কিন্তু, কোনও দিনই বিষয়গুলি সিরিয়াসলি ভেবে দেখেনি। তারই ফল ভুগছি।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- কবে থেকে বুঝতে পারলেন ঋতব্রত আপনাকে এঁড়িয়ে চলছে?
নম্রতা-- নেদারল্যান্ডস থেকে ফেরার পরই ঋতব্রত যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল। খুব কষ্ট করে ওর সঙ্গে কথা বলতে হত। আসলে আমি তো বুঝতে পারিনি ওর আমার সঙ্গে যা মজা লোটার ছিল তা হয়ে গিয়েছে। এখন আমাকে ছুঁড়ে ফেলতে চায়। আমি এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে ফিরি কয়েক মাস আগে। ওর সঙ্গে দেখাও করি। কিন্তু, দেখা হতেই বিপরীত মানুষ, যেন সেই পুরনো ঋতব্রত। যাঁকে আমি ভালোবাসি। আমার কাছে নেদারল্যান্ডসের মোবাইল সিম। ঋতব্রতই একটা মোবাইল সিম আমাকে ব্যবহারের জন্য দেয়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- তাহলে আপনি বলছেন কী করে ঋতব্রত আপনাকে প্রতারিত করেছে?
নম্রতা-- ঋতব্রত-র দেওয়া মোবাইল সিমে সম্প্রতি আমি একটা ফোন পাই। দূর্বা সেন নামে একজন মহিলা জানতে চান, এই মোবাইল নম্বরটা আমি কোথায় থেকে পেলাম? তিনি দাবি করেন এটা ঋতব্রতর নম্বর। আমি তাঁকে বলি ঋতব্রতই আমাকে নম্বরটা ব্যবহার করতে দিয়েছে। আমি যে ঋতব্রতর বান্ধবী তাও জানাই। কিছু দরকার থাকলে আমি ঋতব্রত-র কাছে মেসেজ পৌঁছে দিতে পারি বলেও জানাই দূর্বা সেনকে। কিন্তু, দূর্বা সেন দাবি করেন, তিনি ঋতব্রত-র স্ত্রী এবং তাঁর কাছে ঋতব্রত-র যাবতীয় তথ্য আছে। আমাকে নানাভাবে হুমকিও দেন দূর্বা। ঋতব্রত যে আমাকে বিয়ে করতে চলেছে সে কথাও বলি। দূর্বা দাবি করেন ঋতব্রত তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে আছে এবং সে এমন কোনও সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছে। আমি ঋতব্রতর সঙ্গে কথাও বলতে চাই। কিন্তু, দূর্বা জানান ঋতব্রত আমার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী নয়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- ঋতব্রত কি আপনার বাড়ি বয়ে এসে বিয়ের কথা বলে গিয়েছিলেন?
নম্রতা-- হ্যাঁ! ২০১৬ সালের মাঝামাঝি ঋতব্রত বালুরঘাটে আমাদের বাড়িতে আসে। আমিও নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে সে সময় বেঙ্গালুরু থেকে বালুরঘাটে এসেছিলাম। ঋতব্রত আমার মা-কে প্রবলভাবে আশ্বাস দেয় যে আমাকে বিয়ে করছেই। এবং আমার মা-কে শাশুড়ির মর্যাদাও দিয়েছে বলে জানায়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- দূর্বার ফোনের পর ঋতব্রত আপনাকে যোগাযোগ করেছিল?
নম্রতা-- ঋতব্রত আমাকে পরে ফোন করেছিল। দূর্বার সম্পর্কে খুব বাজে বাজে কথা বলেছিল। বলেছিল দূর্বা 'হাই সোস্যাইটি প্রস্টিটিউট গার্ল'। দূর্বার সঙ্গে রাজ্যের তাবড় তাবড় রাজনৈতিক নেতাদের শারীরিক সম্পর্ক আছে বলেও ঋতব্রত দাবি করেছিল। আমি কেঁদে ফেলিছিলাম। কিন্তু, ঋতব্রতকে সম্পর্ক শেষ করার কথা বলতেই ফের একবার আত্মহত্যার হুমকি দেয়। আমাকে বলে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সে বিয়ে করবে। আমি বিবাহিত অবস্থাতেই নেদারল্যান্ডসে ফেরত যাব বলেও দাবি করেছিল ঋতব্রত।
ওয়ান ইন্ডিয় বাংলা-- এরপর কী হয়েছিল?
নম্রতা-- তিন দিন আগে অর্থাৎ ৬ অক্টোবর দূর্বার ফোন আসে। সে আবার শাসানি দেয়। ঋতব্রত-র সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, ফোন ধরেনি। এরপর থেকেই ঋতব্রত-র সঙ্গে আমিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করি। ওকে সর্বত্র আমি ব্লক করে দেই। এরপরই টুইটারে ঋতব্রত-র প্রতারণার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসি।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- আপনি কেন থানায় অভিযোগ জানাননি?
নম্রতা-- মানুষকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশ, কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং দক্ষিণ দিনাজপুর পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট-কে ই-মেলে বিষয়টি জানিয়েছি। মঙ্গলবারের মধ্যে আমি এফআইআর দায়ের করব।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা-- ঋতব্রত-র কী শাস্তি চান?
নম্রতা-- হয় আমাকে বিয়ে করুক নতুবা জেলে পচুক। এমন ভণ্ড রাজনীতিকের আসল চেহারাটা সামনে আসাটা জরুরি।
-------------------------------------------------------------------------------------------
নম্রতার সঙ্গে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার কথোপকথন এখানেই শেষ হয়নি। আরও অনেক বিস্ফোরক কথাও বলেছেন নম্রতা। যা বলতে রীতিমতো মনের সাহস লাগে।