১০ নভেম্বর প্রথম সভা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের, মমতাকে কোন ভাষায় আক্রমণ, প্রতীক্ষায় কর্মী-সমর্থকরা
বিজেপেতে যোগ দেওয়ার পর ১০ নভেম্বর রাজ্যে তথা কলকাতায় প্রথম সভা করবেন মুকুল রায়। সভার স্লোগান, তৃণমূল তোষণ ছাড়, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরাও।
বিজেপেতে যোগ দেওয়ার পর ১০ নভেম্বর রাজ্যে তথা কলকাতায় প্রথম সভা করবেন মুকুল রায়। সভার স্লোগান, তৃণমূল তোষণ ছাড়, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরাও। সেই সভায় মুকুল রায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোন ভাষায় আক্রমণ করেন, তারই অপেক্ষায় বিজেপি সমর্থকরা।
রাজ্য ব্যাপী পদযাত্রা করেও ৪০ শতাংশ বুথে সিপিএম তথা বামদলগুলি। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব বুথে প্রার্থী দেওয়র মতো সংগঠন নেই বিজেপিরও। মুকুল রায় কোন যাদুতে বিজেপির সেই দুর্বলতা কাটাতে পারেন তারই অপেক্ষায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেই দিকে তাকিয়ে ধর্মতলায় রানি রাসমনি রোডের ১০ নভেম্বরের সমাবেশে মুকুল রায়ে ভোকাল টনিকের দিকেই তাকিয়ে তাঁরা। সেই সভার দিকে তাকিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলও। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন মুকুল ঘনিষ্ঠ সেদিনের সভায় বিজেপিতে যোগ দেবেন। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসার জন্য অপেক্ষমানদের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। ১০ নভেম্বর রানি রাসমনি রোডের সভায় রেকর্ড ভিড় হবে বলে দাবি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। মুকুল রায়ের অনুগামীরা ছাড়াও, রাজ্যের সব জেলা থেকেই বিজেপি সদস্যদের হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের প্রথম জনসভায় হাজির থাকবেন, বাবুল সুপ্রিয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে সভায় হাজির থাকবেন, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে সেই সভায় হাজির থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। সভাকে তারকা খচিত করে তুলতে রাজ্য বিজেপির তরফে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সোমবার তথা ৬ নভেম্বর কলকাতায় আসছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সঙ্গে আসছেন বিজেপির তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী। বিজেপির রাজ্য দফতরে মুকুল রায়কে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।