নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী কে, ইঙ্গিত করলেন মুকুল রায়
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় (mukul roy)। এদিন তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় প্রার্থী হচ্ছে
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় (mukul roy)। এদিন তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় প্রার্থী হচ্ছেন তার জন্য চিন্তিত নয় বিজেপি (bjp)। মুকুল রায় এদিন গিয়েছিলেন ঠাকুরনগরে, অমিত শাহের সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে।
বিজেপির ভয়ে উল্টো সার্ভে রিপোর্ট! কত আসনে তৃণমূলের জয়, নন্দীগ্রামের সভা থেকে ঘোষণা মমতার
নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা মমতার
এদিন দুপুরে নন্দীগ্রামের সভা থেকে ২০২১-এর নিজের প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন ভবানীপুরের পাশাপাশি তিনি নন্দীগ্রাম থেকেও লড়াই করবেন। এব্যাপারে তিনি ভবানীপুরকে বড় বোন এবং নন্দীগ্রামকে মেজ বোনের সঙ্গে তুলনা করেন। সঙ্গে তিনি বলেন, এই ঘোষণায় ভবানীপুরের মানুষ যেন তাঁকে ভুল না বোঝেন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে শুরু করেন। তাঁরা বলেন, ভবানীপুরে হার নিশ্চিত বুঝেই তিনি নন্দীগ্রামে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন।
নন্দীগ্রাম থেকে সব থেকে বেশি লাভ মমতার
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে প্রাক্তন সহযোগী মুকুল রায় বলেন, নন্দীগ্রাম থেকে যদি কেউ সব থেকে বেশি লাভ পেয়ে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু মুকুল রায় নন, একই কথা বলে থাকেন, তৃণমূল বিরোধী সবাই। কেননা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
হারার ভয়েই দুটি আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা
মুকুল রায় আরও বলেন, হারার ভয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে তিনি কোথায় প্রার্থী হচ্ছেন, তার জন্য বিজেপি ভাবিত, চিন্তিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়। তিনি বলেছেন বিজেপির যে কোনও প্রার্থীই মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত। প্রসঙ্গত এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড পার্টি বলেই, একজন এইভাবে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করে দিতে পারেন। কিন্তু বিজেপি তা নয়। আলাপ আলোচনা করেই সেখানে প্রার্থী পদ ঠিক হয়। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, তিনি কিংবা অন্য কেউ, সেই নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হোন, যদি তাঁকে ৫০ হাজার ভোটে জেতাতে না পারেন, তাহলে তিনি (শুভেন্দু) রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।
অমিত শাহের সভার মাঠ পরিদর্শনে মুকুল রায়
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগে সোমবার ঠাকুরবাড়িতে যান শ মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে প্রথমে ঠাকুর হরিচাঁদ গুরুচাঁদের মন্দিরে যান তাঁরা। তারপর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি নেতৃত্ব।