মমতার দৌড় স্থির করে দিলেন মুকুল, লোকসভার দায়িত্ব পেয়েই ‘কৌটিল্যে’র ছক তৈরি
পঞ্চায়েতের পর লোকসভাতেও মুকুল রায় নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছেন। মুকুল রায় হয়েছেন রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের চেয়ারম্যান।
পঞ্চায়েতের পর লোকসভাতেও মুকুল রায় নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছেন। মুকুল রায় হয়েছেন রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের চেয়ারম্যান। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছ থেকে গুরুদায়িত্ব পেয়ে মুকুল রায় নেমে পড়েছেন কাজে। সোমবার দেবীপক্ষের সূচনার প্রাকলগ্নে পিতৃতর্পণ করতে এসে তিনি জানালেন আসন্ন লোকসভায় তাঁর পরিকল্পনার কথা।
তৃণমূল ২০-তে আটক
মুকুল রায় মনে করেন, ২০১৯-এ তৃণমূলে বেঁধে রাখা সম্ভব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কম্যান্ড দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ২০টিতেই আটকে যাবে তৃণমূলের বিজয় রথ। বাকি আসন আসবে বিজেপির ঝুলিতেই। বাংলায় শুভবুদ্ধির উদয় হবে লোকসভা নির্বাচনে।
দিলীপের তত্ত্বকেই সমর্থন
সংখ্যার খেলায় মুকুল রায় কার্যত সমর্থন জানিযে দিলেন দিলীপের ২২-এর তত্ত্বকেই। তৃণমূল ২০ আসনে আটকে যাবে। এই কথা জানিয়ে তিনি ঘুরিয়ে দিলীপ ঘোষকে সমর্থন জানিয়ে দিলেন। উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে রাজ্যে ২২ আসনের টার্গেট রেখেছিলেন। মুকুল রায়ও সেই টার্গেট নিয়েই এগোচ্ছেন।
দুর্গাপুজোর পরই ময়দানে
হালিশহরের গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করতে এসে মুকুল রায় জানালেন, ভোটে ভালো ফল করতে গেলে ময়দানে নেমে পড়তে হবে পুজোর পর থেকেই। পুজোও জনসংযোগে জোর দিতে হবে। দলীয় কর্মীদের কী করণীয় তার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন জয়ের রহস্যও।
কী হলে তৃণমূল ২০-তে থামবে
মুকুল রায় বলেন, এ ব্যাপারে তৃণমূলের ফর্মুলা প্রয়োগ করতে হবে। ভোট শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে প্রতিটি বুথে ৩০-৪০টি ভোট নিজেদের দিকে দিইয়ে নেয় তৃণমূল। তারপর অঙ্ক কষা শুরু করে। এই ফর্মুলায় তারা এগিয়ে যায় অন্যদের তুলনায়। ভোট ভালো ফল করতে গেলে বিজেপিকেও একই পথে হাঁটতে হবে।
জনসংযোগে জোর মুকুলের
পঞ্চায়েতে যেমন আমরা মাটি কামড়ে পড়ে থেকে পুরুলিয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পদ্ম ফুটিয়েছি, তেমনই লোকসভাতেও মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। তাহলেই আমরা লক্ষ্যে সফল হব। আর এই লক্ষ্যপূরণে বুথের প্রতিটি ভোটারকে চিনতে হবে কর্মীদের। পুজোয় জনসংযোগে জোর দেওয়ার বার্তা দেন তিনি।