বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে দিল্লির দরবারে মুকুল, নয়া গেমপ্ল্যানে মাত দেওয়ার প্রয়াস
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে রাজ্যে। তার ফলে বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীরাও নিরাপদ নয়। তাঁদের শংসাপত্র ছিঁড়ে দেওয়া থেকে শুরু করে হুমকি চলছে সমানে।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে রাজ্যে। তার ফলে বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীরাও নিরাপদ নয়। তাঁদের শংসাপত্র ছিঁড়ে দেওয়া থেকে শুরু করে হুমকি চলছে সমানে। তার উপর চলছে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জন্য চাপ সৃষ্টি। এই অবস্থায় বিজয়ী প্রার্থীরা স্বয়ং হাজির নিজেদের সমস্যার কথা দিল্লির দরবারে তুলে ধরতে। মুকুল রায় নিজে উদ্যোগ নিয়ে জয়ী প্রার্থীদের এনেছেন দিল্লিতে।
বাংলার সন্ত্রাসের কথা দিল্লির সরকারের কাছে তুলে ধরতে আগেও দরবার করেছিলেন মুকুল রায়। ভোটের আগে আক্রান্ত প্রার্থীদের নিয়ে এসেছিলেন দিল্লিতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে শুরু করে উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁরা জানিয়েছিলেন সন্ত্রাসের কথা। আবারও ভোটের পর জয়ী প্রার্থীরা দিল্লির দরবারে হাজির ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরতে।
[আরও পড়ুন: ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে নৃশংস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি প্রার্থী]
১৭ মে পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে বাংলায়। সেই ফলাফলে রাজ্যের বিরোধী দলের মর্যাদা আদায় করে নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তারপরও স্বস্তিতে নেই তাঁরা। শাসক দলের চাপ আসছে প্রতিনিয়ত। শাসক দলে যোগ দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: মোদীকে চিঠি ভিটেমাটি ছাড়া বিজেপিকর্মীদের, ভোট পরবর্তী হিংসায় আশ্রয় ধর্মশালায়]
মুকুল রায় তাই ১৫০ জন বিজয়ী প্রার্থীকে নিয়ে তাই সটান চলে এসেছেন দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে প্রার্থীরা তাঁদের অসুবিধার কথা তুলে ধরবেন। বলবেন, জয়ের পর থেকে সন্ত্রস্ত হওয়ার কথা। মুকুলবাবু চাইছেন বুধবার দিনভর বিভিন্ন মন্ত্রকে নিয়ে গিয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে।