বিজেপিতেও প্রকট নির্দল-কাঁটা! দিলীপে অনাস্থায় মুকুল রায়কে নেতা মানেন ‘নির্দল’ প্রার্থী
একে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি, তার উপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার অবস্থা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিতে এবার দেখা দিল নির্দল-কাঁটা।
একে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি, তার উপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার অবস্থা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিতে এবার দেখা দিল নির্দল-কাঁটা। মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা দলীয় টিকিট না পেয়ে স্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। এবং সেই নেতা বেমালুম প্রচার করে যাচ্ছেন- মুকুল রায়ই তাঁর নেতা। তাঁর অনুমতি নিয়েই তিনি সর্বক্ষণ চলেন।
তিনি সরাসরিই বলছেন, তাঁর স্ত্রী যে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তা দাদা (মুকুল রায়) জানেন। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন মুকুল রায় স্বয়ং। মালদহের আড়িয়াডাঙায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিপাকে দলও। এই ঘটনা প্রকাশ করে দিয়েছে, বিজেপিতে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠীর মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে বিবাদ ছিল বেশ জোরদারই।
মুকুল রায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব থাকলেও, বহু ক্ষেত্রেই যে দিলীপ-গোষ্ঠীর নেতারাই লাইমলাইটে উঠে এসেছেন, তা পরিষ্কার। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ নেতারা কল্কে পাননি দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ নেতাদের বাড়বাড়ন্তে। তার ফলস্বরূপই মালদহের শুভঙ্কর মণ্ডলরা নির্দল হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন। এবং প্রকাশ্যেই বলছেন তাঁর নেতা মুকুল রায়।
এখানেই শেষ নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেও কসুর করছেন না মুকুল ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা। শুভঙ্কর যেমন বলছেন, তিনি ভেবেছিলেন তাঁর স্ত্রী এবার টিকিট পাবেন দলের, তেমনই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া শুভঙ্করের স্ত্রী বলছেন, এই কেন্দ্রে অযোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মানুষ আমার সঙ্গেই আছেন। তা প্রমাণ হয়ে যাবে ভোট হলেই। এভাবে চললে বিজেপি রাজ্যে কোনওদিনও ক্ষমতায় আসবে না। এমনকী ভোটের পর তাঁরা দল পরিবর্তন করতেও পারেন বলে আভাস দিয়েছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতার স্ত্রী মামনি মণ্ডল।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কোনও একটা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হল, সেটা বড় কথা নয়। এই ঘটনা প্রকট করে দিল মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের দুই গোষ্ঠীর বিবদমান পরিস্থিতি। বিজেপি যে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়েও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে না, তা প্রমাণ হয়ে গেল এই ঘটনায়, যা পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে যথেষ্টই।