পদ্মফুল হাতে নিয়ে মমতা হটাওয়ের ডাক মুকুলের, রাজ্যে কি আসবে আরও এক পরিবর্তন
শেষমেশ সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাঁকে বিজেপিতে বরণ করে নেওয়া হল। আর বিজেপির উত্তরীয় গলায় ঝুলিয়েই মুকুল রায় ডাক দিয়ে দিলেন বাংলায় পরিবর্তনের।
বিজেপির সাহায্য ছাড়া তৃণমূল আদৌ প্রতিষ্ঠা পেত না। যেদিন সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলার বুকে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল, সেদিন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিজেপি। বিজেপির জন্যই উত্থান হয়েছে তৃণমূলের। এখন সেই তৃণমূলের রাজত্বে হাঁফিয়ে উঠেছে বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষকে সেই পরিস্থিতি থেক মুক্তি দিতে হবে। আর সেই মুক্তি দেবে বিজেপিই।
শুক্রবার বিজেপির সদর দফতরে পদ্মফুল হাতে নিয়েই বাংলায় ফের পরিবর্তনের ডাক দিলেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, 'বাংলার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছেন। তাঁরা পরিবর্তন চাইছেন। ২০২১-এর মধ্যেই বাংলার মানুষকে সত্যিকারের পরিবর্তন দিতে হবে। ২০১৯ থেকে ২০২১-এর মধ্যে রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বে ফের পরিবর্তনের সরকার আসবে বলে মনে করেন তিনি।
তৃণমূলের সংসর্গ ত্যাগ করার পর থেকেই বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। তৃণমূল ছাড়ার পর তিনি কী করবেন, কোন দলে নাম লেখাবেন, তা নিয়েই চর্চা চলতে থাকে। সেই চর্চায় যেমন উঠে আসে তাঁর নতুন দল জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের নাম, তেমনই উঠে আসে বিজেপির নাম।
তবে কিছুদিনেই স্পষ্ট হয়ে যায়, মুকুল রায় নতুন দল করছেন না। তিনি বিজেপিতেই পা বাড়িয়ে রয়েছেন। বিজেপিতেই যাবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে উঠে আসে, তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি। উঠে আসে সারদা-নারদের প্রসঙ্গ। কেননা সারদা ও নারদ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তিনি তা থেকে বাঁচতেই বিজেপির ডাল ধরতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
আর মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই অভিযোগ নিয়েই দোটানায় ছিল বিজেপি। শেষমেশ সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাঁকে বিজেপিতে বরণ করে নেওয়া হল। আর বিজেপির উত্তরীয় গলায় ঝুলিয়েই মুকুল রায় ডাক দিয়ে দিলেন বাংলায় পরিবর্তনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র নাম একবারের জন্যও নেননি মুকুল রায়। তবে তৃণমূলের আমলে বাংলার মানুষ যে ভালো নেই, সে কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি মুকুল। তিনি বলেন বাংলার মানুষকে সত্যিকারের পরিবর্তন দিতে হবে। আর সেদিন আসন্ন। ২০১৯ থেকে ২০২১-র মধ্যেই বাংলায় বিজেপির নেতৃত্ব নতুন সরকার আসবে।