তৃণমূল ভাঙছে, গড়ছে কি বিজেপি! পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুকুলের থাবাতেও প্রশ্ন
মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে। যোগ দিলেন শতাধিক তৃণমূল কর্মীরাও। সেইসঙ্গে যোগ দেন সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য।
তৃণমূল কংগ্রেসের গড়ে ফের থাবা বসালেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে। যোগ দিলেন শতাধিক তৃণমূল কর্মীরাও। সেইসঙ্গে শুধু তৃণমূলই নয়, সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। পঞ্চায়েতের ভোটের আগে বিজেপির এই শক্তিবৃদ্ধিতে স্বভাবতই উৎফুল্ল মুকুল রায়রা। কিন্তু সেইসঙ্গে ভীতিও থাকছে মুকুল রায় ও বিজেপির জন্য। কেননা তৃণমূলত্যাগী নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েই পরের দিন পাল্টি খেয়ে তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন। এবারও তা হলে, মুকুল রায়ের এই তৃণমূল ভেঙে বিজেপিকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা মাঠে মারা যাবে।
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে অযথা গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস! মমতাকে এ কোন বার্তা অধীরের]
মুকুল রায় এদিন জনসংযোগ যাত্রায় বর্ধমানে সভা করেন। সঙ্গে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। এই সভাতেই মুকুল রায় ও লকেটের হাত থেকে দলীয় পতাকা নেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য টুম্পা হালদার ও সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য অঞ্জলি বাগ। টুম্পা হালদারের নেতৃত্বে শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেসকর্মী বিজেপিতে যোগ দেন।
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের যোগদান করানোর পর মুকুল রায় তাঁর ভাষণে বলেন, 'তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সরকার দশ বছরের মেয়াদও পূরণ করতে পারবে না। সাত বছরে রাজ্যে কোনও শিল্প আনতে পারেননি। পিসি-ভাইপো মিলে দলটাকে লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করেছে। তাই এদের পতন নিশ্চিত। আর তার বেশি দেরিও নেই।'
এ প্রসঙ্গে গুজরাতের বিজেপি সরকারের সঙ্গেও মমতার সরকারের তুলনাও টেনে আনেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, 'গুজরাতের সরকার টিকে রয়েছে ২২ বছর। আর এ রাজ্যে সাত বছরেই টলমল তৃণমূল সরকার। বাংলায় শিল্পকে শেষ করে দিয়েছে। শেষ শিল্প এসেছিল হলদিয়ায়। তারপর বাংলায় কোনও শিল্প আসেনি। আর মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যের বেসাতি করে চলেছেন। ৮১ লক্ষ চাকরি হচ্ছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই হিসেবে তো প্রতি ঘণ্টায় ১৫৬ জনের চাকরি হওয়ার কথা। এটাই এ রাজ্যের সবথেকে বড় জোকস।' এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন বিজেপির মহিলা মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।
[আরও পড়ুন:দিলীপ ঘোষের পিছনের সারিতে চলে গেলেন মুকুল! তীব্র শ্লেষ 'বাচ্চা-ছেলে'র গলায়]