ঝড়ের পূর্বাভাস নয় তো! দিলীপের বৈঠকে অনুপস্থিত মুকুল, লম্বা তালিকা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
ঝড়ের পূর্বাভাস নয় তো! তা না হলে প্রভূত সাফল্যের পর দলের বর্ধিত অধিবেশনে রাজ্য সভাপতির ডাকে সাড়া দেবেন না কেন তাবড় নেতা-নেত্রীরা।
ঝড়ের পূর্বাভাস নয় তো! তা না হলে প্রভূত সাফল্যের পর দলের বর্ধিত অধিবেশনে রাজ্য সভাপতির ডাকে সাড়া দেবেন না কেন তাবড় নেতা-নেত্রীরা। রাজ্য বিজেপির বর্ধিত অধিবেশনে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-সহ মুকুল রায়, দেবশ্রী চৌধুরী থেকে শুরু করে হালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন-বৈশাখী কেউ নেই দলীয় সভায়। গরহাজির বাবুল সুপ্রিয়ও।
কেন দলে এত শিষ্টাচারের অভাব
রাজ্যে বিপুল জয়ের পর দলের এই ছন্নছাড়া অবস্থা দেখে বেজায় চটেছেন সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। তিনি কৈফিয়ৎ চেয়েছেন, কেন দলে এত শিষ্টাচারের অভাব। রাজ্যের বর্ধিত অধিবেশন বলে কথা, যে অধিবেশন থেকে বড় কতকগুলি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল, সেখান এই অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
মুকুল-কৈলাশ অনুপস্থিতিতে জল্পনা
মুকুল রায় নেই, নেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে বাংলা থেকে সরিয়ে অন্য রাজ্যের দায়িত্বে পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছিল। সেখানে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে অরবিন্দ মেননকে। রাজ্যে মুকুল-কৈলাশ জুড়ির অবসান ঘটবে। এই অবস্থায় উভয়ের অনুপস্থিতি জল্পনার পারদ চড়াতে বাধ্য।
দিলীপ-মুকুল দ্বন্দ্বের আশঙ্কা
এতে মুকুল-দিলীপের দূরত্ব আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিলীপ ঘোষ যেমন রাজ্য বিজেপির সর্বোচ্চ পদে আসীন, পদ না থাকলেও নির্বাচনে মুকুলকে অনেক বেশি ওয়ার্কলোড নিতে হয় এবং তাঁকে কঠিন দায়িত্বও দেওয়া হয়। উভয়ের সমর্থককুলের মধ্যে লেগেই রয়েছে টানাপোড়েন। এই অবস্থায় মুকুলের অনুপস্থিত জল্পনা বাড়াল।
অনুপস্থিত শোভন-বৈশাখীও, জল্পনা
আবার কর্মশালায় উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো থেকে শুরু করে স্পেশাল ফোনও করা হয়েছিল শোভন-বৈশাখীকে। কিন্তু আসব বলেও আসেননি তাঁরা। কদিন আগেই দলে যোগ দিয়েছেন, তারপর কী এমন হল যে, রাজ্য সভাপতির ডাকে সাড়া পর্যন্ত দিলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
ডাল-ভাত বিতর্কের প্রভাব! ঝড় উঠবে বোধহয়
তবে কি ভাত-ডাল তত্ত্ব নিয়ে এখনও ঘোলা জল কাটেনি। তার রেশেই কি দিলীপ ঘোষের পৌরহিত্যে বর্ধিত কর্মশালায় অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন বৈশাখী-শোভনরা। ১৮ জন সাংসদের অধিকাংশ আসেননি, আসেননি অনেক বিধায়কও। কেন এই অনুপস্থিতির লম্বা লাইন, তা নিয়ে চলছে তল্লাশি। রাজ্য বিজেপির তরফে কিছু জানানো না হলেও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। আশঙ্কা- সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে উঠতে পারে ঝড়!