থেমে গেল মান্নানের নিঃশ্বাস, ‘অভিভাবক’ হারা হল মুর্শিদাবাদ তৃণমূল কংগ্রেস
দু-সপ্তাহ আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুল মান্নান হোসেন। কিডনি প্রতিষ্ঠাপন হওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিডনি প্রতিষ্ঠাপনের তিনমাস পর তাঁর মৃত্যু হল। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
দু-সপ্তাহ আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। এদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিন বারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ।
বছর দুয়েক আগে তেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগঠিলেন তিনি। তাঁর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তিনমাস আগে সেই কারণেই তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু দিন ১৫ আগে থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডও বসানো হয়।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জাতীয় কংগ্রেসের টিকিটে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনবার। এরপর ২০১৪ সালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান। তাঁর হাত ধরেই মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস গড়ে প্রভাব বাড়াতে শুরু করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
১৯৫২ সালের ১৫ অক্টোবর তাঁর জন্ম হয়। আরকেএন কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করার পর তিনি শিক্ষকতার পেশ নেন। সেইসময়ই তিনি রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তারপর ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার সদস্য ছিলেন তিনি।
এরপর ২০০৪ সালে তিনি কংগ্রেসের সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে পুনর্নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালেও জয়ী হন কংগ্রেসের টিকিটে। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান। কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি।