‘মুকুল-বিদায়ে লাভ না ক্ষতি’! এক সাংসদের ফেসবুক পোস্ট বলল হাজারো মনের কথা
একটি ফেসবুক পোস্ট, তাও কারও নামে নয়। তবু অনেক কথাই বলে গেল তা। হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীর মনের কথা হয়ে উঠল পোস্টটি।
মুকুল রায়ের বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতেই দলের অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। ঠিক সেই সময়ই একটি ফেসবুক পোস্ট যেন সমস্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীর মনের কথা বলে দিয়ে গেল। আর সেই ফেসবুক পোস্টটি একজন তৃণমূল সাংসদেরই। উৎকণ্ঠা চেপে রাখতে না পেরে বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরা ফেসবুকে পোস্ট করলেন-'যাঃ, লাভ হল না ক্ষতি হল।'
এই পোস্টে কারও নাম নেই। তবু অনেক কথাই বলে গেল ওই ফেসবুক পোস্ট। কাকে লক্ষ্যে করে এই পোস্ট তা জলের মতো পরিষ্কার। এই ফেসবুক পোস্টে কী বার্তা দিতে চান সাংসদ তা পরের কথা, আপাতত এটিই এখন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীর একমাত্র জিজ্ঞাস্য হয়ে উঠেছে।
সত্যিই তো তৃণমূল থেকে মুকুল রায়ের বিদায়ে ক্ষতি হল কার? মুকুল রায়ের? নাকি দলের? নাকি দল ও মুকুল রায় উভয়েরই? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এখনও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তার আগে মুকুলের অপসারণে তৃণমূলের অন্দরে যে মেরুকরণ শুরু হয়েছে, তা স্পষ্ট।
কে কোন দিকে থাকবেন, তার একটা গুঞ্জন উঠে পড়েছে দলের অন্দরে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে- তৃণমূল থেকে'চাণক্য'মুকুলের বিদায় হয়ে গেল। এবার কী হবে? তৃণমূলে ভাঙন ধরবে না তো! ক্ষতি হবে না তো দলের! তাহলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফ্যাসাদে পড়বে শাসক দল।
আর যাই হোক বোধনের আগে পঞ্চমীর সকাল তৃণমূলকর্মীদের একটা মোড়ের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেল এই একটি সিদ্ধান্ত। মুকুল রায় যে এভাবে নিজেকে সরিয়ে নেবেন তৃণমূল থেকে সাধারণ কর্মীরা অনেকেই ভাবতে পারেননি। আগে উইকেটে টিকে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন ক্রিকেট পাগল মুকুল রায়।
কিন্তু তিনি যে হঠাৎ করেই উইকেট ছুড়ে দেবেন, তা ভাবতে পারেননি অনেকে। তাই হিসেব কষার আগেই আকাশ ভেঙে পড়েছিল মুকুলের সিদ্ধান্তে। তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে ছ-বছরের জন্য বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে। এমতাবস্থায় দলের বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরার মতো অনেকেই হিসেব কষছেন- এই সিদ্ধান্তে লাভ হল না ক্ষতি হল!