রাজ্যের প্রতি 'সদয়' কেন্দ্র! বাংলার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ৬০০ কোটি টাকা
শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আরও একটি প্রকল্পের জন্য টাকা পাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য রাজ্য সরকারকে ৫৮৪ কোটি টাকার অ্যালোটমেন্ট লেটার পাঠানো হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে এই টাকা আটকে ছিল।
শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আরও একটি প্রকল্পের জন্য টাকা পাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য রাজ্য সরকারকে ৫৮৪ কোটি টাকার অ্যালোটমেন্ট লেটার পাঠানো হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে এই টাকা আটকে ছিল।
রাজ্য পেল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা
২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ৩-এর অধীনে আরও ৬ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫৫০০ কোটি টাকা। সেই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পাঠাল কেন্দ্র। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরি শুধুমাত্র কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় হয় না। এব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমান অংশীদারিত্ব রয়েছে। (ছবি সৌজন্য: টুইটার)
|
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলানোর অভিযোগ
রাজ্যের চলা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলানোর অভিযোগ বারে বারে করে এসেছে বিজেপি। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা। এখানে সেটিকে বাংলা গ্রাম সড়ক যোজনা বলে চালানো হত। প্রচারে সেটিকে তৃণমূল সরকারের প্রকল্প বলে চালানোরও অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্র টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়। এরপর রাজ্যে তদন্তে আসে কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়. প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে নিজেদের নামে চালালে আর টাকা দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের গত এপ্রিল থেকে রাজ্যের টাকা বকেয়া ছিল। অর্থাৎ প্রায় ৮ মাস টাকা আটকে ছিল।
|
কেন্দ্রের টাকার জন্য সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যের পাওয়া টাকা কেন্দ্রীয় সরকার পাচ্ছে না বলে বারে বারে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেছিলেন, কেউ কেউ কূটকচালি করে বাংলার খাচ্ছে, বাংলার পড়ছে আর দিল্লিকে বলছে পশ্চিমবঙ্গকে টাকা দিও না। অন্যদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলার নামে প্রকল্প করলে আপত্তি কেন করা হচ্ছে? তিনি দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে, রাজ্য একাই সব কাজ করতে পারবে। যদিও গত বছরে বিজেপিতে থাকার সময় নিজের সংসদীয় এলাকায় এই প্রকল্পের সফল রূপায়ণ নিয়ে টুইট করেছিলেন বর্তমানে বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
রাজ্যের বকেয়া রয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা বরাদ্দ করা হলেও, রাজ্যের বকেয়া রয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা। গত ৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী এবং পঞ্চায়েত দফতরের সচিব। সেখানে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকার পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। তবে পঞ্চায়েতর ভোটের আগে রাজ্য সরকারের হাতে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা আসায় খানিকটা স্বস্তি রাজ্য সরকার। অ্যালটমেন্ট লেটার পাওয়ার পরে টেন্ডার ডাকা কাজ শুরু করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে খবর নবান্ন সূত্রে। (ছবি সৌজন্য: টুইটার)
ED-CBI পর্যাপ্ত নয়, নামতে হবে সাধারণ মানুষকে! আদিবাসীদের ভালবাসার ভান মমতার, বিস্ফোরক মহঃ সেলিম