তৃণমূলে ‘দুই স্রোত’ মিলিয়ে দিতে আসরে মন্ত্রী! অন্দরের লড়াই রুখতে ২০২১-এর আগে উদ্যোগ
তৃণমূলে ‘দুই স্রোত’ মিলিয়ে দিতে বৈঠকে মন্ত্রী! অন্দরের লড়াই রুখতে ২০২১-এর আগে উদ্যোগ
করোনার আবহে প্রচার বন্ধ। বন্ধ রাজনৈতিক যাবতীয় কর্মসূচি। তবে মান-অভিমানের শেষ নেই। দলের অন্তর্কলহ এই লকডাউনেও বেরিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত। এই পরিস্থিতিতেও তৃণমূলের ত্রিধারাকে এক জায়গায় মিলিয়ে দিতে উদ্যোগী হলেন মন্ত্রী গৌতম দেব। সামনেই ২০২১। মহা সংগ্রামের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। এই অবস্থায় দলকে এক করতে বদ্ধপরিকর মন্ত্রী।
জলপাইগুড়ি তৃণমূলে প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি তৃণমূলে খোদ সভাপতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান মোহন বসু। তখনই থেকেই জল গড়াতে শুরু করে। প্রবল আকার নেয় দুই নেতার দ্বন্দ্ব। এমনকী সমান্তরাল দল চালানোর হুমকিও দেন বর্ষীয়ান নেতা মোহন বসু। সভাপতির বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতারা যোগাযোগও করেন তাঁর সঙ্গে।
তিন নেতাকে নিয়ে বৈঠক গৌতম দেবের
এই পরিস্থতিতে দলীয় কোন্দল রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার জন্যই তিন নেতাকে নিয়ে বৈঠক করেন গৌতমবাবু। একজন জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কিষানকুমার কল্যাণী, আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে একটা সিদ্ধান্ত উপনীত হতে চান তাঁরা।
বিদ্রোহ মোটাতে বিকল্প পথ বের করার চেষ্টা
প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুকে পুরসভায় প্রশাসক পদ না দেওয়া নিয়ে জামেলার সূত্রপাত। এ জন্য সরাসরি সভাপতিকে দায়ী করে মোহন বসু জানান ওই সভাপতির নেতৃত্বে আর দল করতে চান না। প্রয়োজনে তিনি সমান্তরাল দল চালাবেন। এরপর মন্ত্রী গৌতম দেব নিজে তাঁর সঙ্গে দেখা করেও বরফ গলাতে পারেননি। এখন তিনি তিন নেতার সঙ্গে বৈঠক করে বিকল্প পথ বের করতে চাইছেন।
সমান্তরাল দল চালাবেন বিদ্রোহী, ফাঁপরে তৃণমূল
কেননা দল এখন সংকটের মুখে। মোহনবাবর নিজে শুধু ব্রিদ্রোহী হননি, অন্য বিদ্রোহীদের এক জায়গায় করে তিনি দলও পাকাচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে সভাপতি বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূল না ছেড়েই তিনি সমান্তরাল দল চালাবেন। তারপরও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও হস্তক্ষেপ না করলে তিনি বিকল্প রাস্তা দেখবেন।
স্থায়ী সমাধান সূত্র বের করার উদ্যোগ তৃণমূলে
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর মান ভাঙাতে যান রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব স্বয়ং। কি্ন্তু আধঘণ্টা আলোচনাতেও তাঁর মন গলেনি। মোহন বসুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছিলেন, মোহনদা দলেই আছেন, দলেই থাকবেন। ওঁর অভিজ্ঞতা আমাদের চলার পথের পাথেয়। মোহনদার দুবার সেরিব্রাল হয়েছে। তাঁকে মানসিক চাপে রাখা ঠিক হচ্ছে না। পুরো বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরই এদিন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করে স্থায়ী সমাধান সূত্র বের করার উদ্যোগ নিলেন।
পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যে কোণঠাসা কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ, কোন পথে মহুয়া বাড়ছে জল্পনা