জঙ্গলমহলে হারানো জমি ফেরতের প্রচেষ্টা মাওবাদীদের, খবর ইন্টেলিজেন্সের
জঙ্গলমহলে আবার তাদের হারানো জমি ফিরে পেতে চেষ্টা করছে মাওবাদীরা।
জঙ্গলমহলে আবার তাদের হারানো জমি ফিরে পেতে চেষ্টা করছে মাওবাদীরা। এলাকার যুবকদের তারা নিজেদের দলে সামিল করতে এবং নিয়োগ করার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এই জন্য অনেক মাওবাদী নেতা ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চল, যা ঝাড়খণ্ড রাজ্য সীমান্তে অবস্থিত, ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সম্প্রতি সেখানে রাত কাটিয়েছে বলে খবর পেয়েছে ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ।
এই নিয়ে একটি রিপোর্ট তারা জমাও দিয়েছে রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। মাওবাদীরা যাতে হিংসার পথ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে তার জন্য রাজ্য সরকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করে। তারপর অনেক মাওবাদী নেতা রাজ্য সরকারের ও পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু তারপরও আরও কয়েকজন মাওবাদী নেতা গা ঢাকা দেয়। তারা এই রাজ্যে না থেকে অন্য এলাকায় লুকিয়ে আছে। গত সাত বছর এই রাজ্যে কোনও মাওবাদী নাশকতা দেখা না গেলেও মাওবাদী নাশকতার ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায়।
এক সময় ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খুন, নাশকতার কাজ করে মাওবাদীরা। কিশেনজীর মৃত্যুর পর পিছু হটে তারা। সম্প্রতি তারা আবারও এই এলাকাতে তাদের হারানো জমি ফিরে পেতে চেষ্টা করছে । এই গোয়েন্দা সংস্থা তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করে যে ঝাড়খণ্ড রাজ্য সীমান্তে অবস্থিত বেলপাহাড়ির শাখাভাঙা, ওদলচুয়া, আমলাশোল, ভাঙিকুসুম সহ বেশ কিছু গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং গ্রামের লোকের সাথে বৈঠক করে মাওবাদীরা। সেই দলে দুজন মহিলা ছিল বলে জানতে পেরেছে এই গোয়েন্দা সংস্থা।
তারা বলেছে কয়েক মাস আগে যে, মাওবাদীরা এলাকায় এলেও দু থেকে তিন ঘন্টার বেশি থাকে নি। তাদের আসার খবর পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে যাওয়ার আগেই পালিয়ে যায় মাওবাদীরা । কিন্তু সম্প্রতি তারা শুধু মাত্র গ্রামের লোকের সাথে বৈঠক করেনি, মাওবাদীরা রাতেও থেকেছে গ্রামে । সেই খবর পুলিশ পেয়েছে অনেক পরে । গোয়েন্দা সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে যে মাওবাদীরা যে ফের এলাকায় আসছে সেই খবর পুলিশকে দিতে চাইছে না গ্রামবাসীরা।
[ বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা তৈরির কারখানার হদিশ, গ্রেফতার অভিযুক্ত]
পুলিশ এলাকায় সতর্ক আছে এবং রাজ্যে মাওবাদীরা আর ফিরে আসতে পারবে না বলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ সুকুমার হাঁসদা দাবি করেছেন। তবে এলাকার কংগ্রেস নেতা সুব্রত ভট্টাচার্য এবং সিপিএম নেতা ডহরেশ্বর সেন বলেন যে যদি মাওবাদীরা সত্যিই ফিরে আসে বা আসার চেষ্টা করে তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকারের অপশাসন।