তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে মমতাবালার! অশনি সংকেত মিলল ধর্মতলায় মতুয়া-সভায়
এনআরসির প্রতিবাদে মতুয়া মহাসংঘের অবস্থান কর্মসূচি চলছে ধর্মতলায়। তৃণমূলের মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে এই মহাসভায় অনুপস্থিতি মতুয়া মহাসংঘের সর্বময় কর্ত্
এনআরসির প্রতিবাদে মতুয়া মহাসংঘের অবস্থান কর্মসূচি চলছে ধর্মতলায়। তৃণমূলের মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে এই মহাসভায় অনুপস্থিতি মতুয়া মহাসংঘের সর্বময় কর্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর। তবে কি নির্বাচনে হারের পর মমতাবালার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ল তৃণমূলের? ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনা। তৃণমূলের দ্বন্দ্বের ছবি স্পষ্ট হয়েছে মতুয়া মহাসংঘের ধর্মতলার সভাকে ঘিরে।
জ্যোতিপ্রিয়র সভায় মমতাবালা ঠাকুর নেই!
জ্যোতিপ্রিয়র ডাকে সভা, সেখানে মমতাবালা ঠাকুর নেই। মতুয়া মহাসংঘের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ নেই। তাহলে কি মতুয়া সমাজে তৃণমূলের প্রভাব-প্রতিপত্তি কমে গিয়েছে একেবারে। তবে কেন এত ছন্নছাড়া দশা? সেই প্রশ্নই এখন বড় আকার নিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে।
মমতাবালার অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়ের ব্যাখ্যা
এদিন মমতাবালার অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ব্যাখ্যা দেন, মমতাবালা খুব অসুস্থ। তাই আসতে পারেননি। মমতাবালাও তাঁর অসুস্থতার কথা মেনে নেন। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে বলে এই কর্মসূচি স্থির করা হয়নি। তাঁর এই স্পষ্ট কথা নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তর জলঘোলা।
আগেই দু-ভাগ হয়েছিল মতুয়ারা
বড়মার মৃত্যুর পরই মতুয়া মহাসংঘ কার্যত দু-ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একদিকে মমতাবালা ঠাকুর, অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর। অর্থাৎ একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি। এই নিয়ে বিতর্ক ছিলই। এবার ধর্মতলার মহাসভায় তৃণমূলের সঙ্গেই দূরত্বের ছবি প্রকাশ পেল মমতাবালার। এটাই এখন গভীর বিস্ময়ের ব্যাপার হয়ে উঠেছে।
তৃণমূলের কাছে অশনি সংকেত মতুয়ারা
তৃণমূলের মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে যদি এই ছবির মতোই প্রভাব পড়ে, তবে তৃণমূলের কাছে অশনি সংকেত হবে তা। সোমবার লোসভায় পাস হয়েছে নাগরিক্তব্ সংসোধনী বিল বা সিএবি। এরই মধ্যে তৃণমূলের এমন ছন্নছাড়া দশা যে, বিক্ষোভ অবস্থান দেখে বোঝার উপায় নেই, এই অবস্থান বিক্ষোভ কেন বা কীসের দাবিতে।
নিশ্চয়তার ভাবনায় উধাও প্রতিবাদ
এনআরসির প্রতিবাদে সভা হলেও বোঝার উপায় নেই সত্যিই কীসের প্রতিবাদ হচ্ছে। কেননা, মতুয়া সংঘই এনআরসি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে এই প্রতিবাদ সভা নিয়ে। সোমবার সিএবি পাস হওয়ার পর অনেকেই মনে করছে এই বিল পাস হলে তাঁদের স্বার্থই সুরক্ষিত হবে। তাঁরা এতদিন শরণার্থী হয়েছিলেন, নাগরিকের মর্যাদা পাবেন। এই নিশ্চয়তার ভাবনায় উধাও হয়ে গেল প্রতিবাদ।
নাগরিকজের কীসের দরকার নাগরিকত্বের
তৃণমূল নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করল। ব্যাখ্যা করল, যাঁরা নাগরিক তাঁদের আবার কীসের দরকার নাগরিকত্বের। আর এই বিল ভারতীয় সংবিধীনের পরিপন্থী। কোনও সাম্য বা মৌলিকতা বজায় থাকছে না বিলে। কিন্তু এনআরসির মতো সিএবিতে ঝাঁঝালো যুক্তি খাঁড়া করতে পারছে না কেউ।
রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত চরমে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রাজ্যপালের অপসারণের দাবি তৃণমূলের