বিজেপিকে রুখতে উন্নয়নই হাতিয়ার, শিশু পাচারে কড়া মুখ্যমন্ত্রী, ‘কাউকেই রেয়াত নয়’
গেরুয়া ঝড় রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতিয়ার করতে চাইছেন উন্নয়নকেই। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠকে তেমন বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জলপাইগুড়ি, ২৮ মার্চ : গেরুয়া ঝড় রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতিয়ার করতে চাইছেন উন্নয়নকেই। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠকে তেমন বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গ শিশু পাচারকাণ্ডে তিনি যে কাউকে রেয়াত করবেন না, তাও সাফ জানিয়ে দিলেন। বললেন, আমি হই বা আপনি, এই জঘন্য কাজের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে, কাউকে বরদাস্ত করা হবে না। জঘন্য এই কারবার কিছুতেই চলতে দেওয়া যাবে না, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী।
পাহাড়ে আসন্ন পুরভোট ও রাজ্যে পঞ্চায়েতের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কড়া বার্তা দেন জেলা পূর্ত দফতরকে। তিনি কৈফিয়ৎ চান কেন অর্থ দফতর অর্থ মঞ্জুর করলেও সমস্ত প্রকল্পের কাজ এগোয়নি। জেলার রাস্তার হাল নিয়ে তিনি কড়া সমালোচনা করেন পুর্ত দফতরের। অবিলম্বে ঘোষিত প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ৫৬টি ঘোষিত প্রকল্প ছিল। ৪১টি প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এই কাজ অবিলম্বে শেষ করতে হবে।
তিনি পরামর্শ দেন, আলোচনা করে কাজ করুক বিভিন্ন দফতর। অর্থ দফতর অর্থ মঞ্জুর করেছে। এবার দ্রুত কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। কাজ ফেলে রাখা যাবে না। সড়ক যোগাযোগ বাড়াতে হবে। কিষাণমান্ডির কাজ ঠিকঠাক চালাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অসুবিধা থাকলে জানান, অসুবিধা মেটানোর সমস্তরকম চেষ্টা করা হবে। প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি জেলাশাসকদেরও নির্দেশ দেন নয়া প্রকল্পগুলির কাজে তদারকি করার।
শিশু পাচার নিয়ে কড়া মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সব হোমের উপর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে নার্সিংহোম ও হাসপাতালের ব্যাপারেও নজরদারি চলবে। শিশউ পাতার রুখতেই হবে। আর তার সঙ্গে সীমান্ত পাচারও রুখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেই জড়িত হন, বরদাস্ত নয়। জঘন্য এই কারবার কিছুতেই চলতে দেওয়া যাবে না। তা বন্ধ করতে যতদূর যাওয়ার, যা বন্দোবস্ত নেওয়ার নিতে তিনি তৈরি।
উত্তরবঙ্গেও স্বাস্থ্য নিয়ে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ২১ জন নার্সিংহোম মালিককে তিনি তলব করেন এদিন। নির্দেশ দেন, হাসপাতালের ঘোষিত প্যাকেজের বাইরে টাকা নেওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ, মানবিক ব্যবহার করতে হবে রোগীর পরিবারের সঙ্গে। গরিব মানুষের প্রতি যত্নবান হতে হবে। সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে সমস্ত নার্সিংহোম ও হাসপাতালকে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা যাবে জেলাশাসকের কাছে। সেখান থেকে অভিযোগ যাবে কমিশনে। প্রতি জেলায় অনলাইনে অভিযোগ নেওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে। প্রতি মাসে জেলাশাসক ও সিএমওএইচ বৈঠক করত হবে।