ধর্ম নিরপেক্ষতায় বারবার গর্জেছেন মমতা, পদ্মাবতীতেও তার অন্যথা হয়নি
কলকাতায় গুলাম আলির পর অনুষ্ঠানের পর এবার পদ্মাবতীর মুক্তির প্রস্তাব। যখন তিনি বিজেপি বিরোধী হয়েছেন, তখন তিনি সুর চড়িয়েছেন ওপরেই। এমন কী পাকিস্তান দলকে ভারতের কোথাও খেলতে না দিলে কলকাতাতেও আমন্ত্রণ
কলকাতায় গুলাম আলির পর অনুষ্ঠানের পর এবার পদ্মাবতীর মুক্তির প্রস্তাব। যখন তিনি বিজেপি বিরোধী হয়েছেন, তখন তিনি সুর চড়িয়েছেন ওপরেই। এমন কী পাকিস্তান দলকে ভারতের কোথাও খেলতে না দিলে কলকাতাতেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রেখেছেন।
বরাবরই ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অংশ নিয়েছেন ইফতার পার্টিতে। মোদী কিংবা কড়া সঙ্ঘ বিরোরী হিসেবে তার ভাবমূর্তিই তিনি তুলে ধরেছেন শুক্রবার কলকাতায় জাতীয় স্তরের এক সেমিনার। সেখানে সমাজের বিশিষ্টদের সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই তিনি সঞ্জয়লীলা বনশালিকে পদ্মাবতী ছবির মুক্তির জন্য কলকাতাকেই বেছে নেওয়ার আবেদন জানান। একইসঙ্গে তিনি জানান, পাকিস্তানি ক্রিকেটারাও খেলতে পারেন। তার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কথা টুইটারে পোস্টও করেছেন সাংবাদিক রাজদীপ সারদেশাই।
I will welcome Sanjay Leela Bhansali to hold Padmavati premiere in Kolkata, will welcome Pakistani cricketers to play here, music, cinema and sports are without boundaries @MamataOfficial tells me #ConclaveEast17 @IndiaToday tv
— Rajdeep Sardesai (@sardesairajdeep) November 24, 2017
এর আগেও একই ধরনের বিতর্কে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাকিস্তানের গজল গায়ক গুলাম আলিকে মহারাষ্ট্র তথা মুম্বইে অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ায় সেই অনুষ্ঠান তিনি করেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ২০১৬-র জানুয়ারিতে হওয়া সেই অনুষ্ঠানে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। শোনা যায়, যখন তিনি, 'মেরে মনজিল কাহা, মেরে ঠিকানা কাহা, সিরফ এক বার মোলাকাত দে দো'-এই গজলটা পেশ করেছিলেন, তখন নাকি শ্রোতারা অঝোরে কেঁদেছিলেন।
গত বছরের পর এই বছর। কড়া সঙ্ঘ বিরোধিতার জেরেই আসে হুমকি। একেবারে নাক কাটার হুমকি। তবে হুমকি দেওয়া বিজেপি নেতা নাক তিনি কাটতে না পারলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকেই যে আবার শক্ত করলেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন বলছে রাজনৈতিক মহল।