ওপার বাংলার স্মৃতি এপার বাংলায় ধরে রাখার প্রয়াস, বঙ্গবন্ধু ভবনের স্বপ্ন মমতার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজ্যে বঙ্গবন্ধু ভবন তৈরির ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজ্যে বঙ্গবন্ধু ভবন তৈরির ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুই নেত্রীর একান্ত আলাপচারিতার মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর ইচ্ছা রাজ্যে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের নামে ভবন তৈরি হোক। দুই দেশ সহমত হলে তিনি বঙ্গবন্ধু ভবন নির্মাণ করতে চান।
শেখ হাসিনা মমতার এই প্রস্তাবে বেজায় খুশি। তিনি এ ব্যাপারে মমতাকে আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, মমতা নজরুল ইসলামকে নিয়ে যে ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের দুই বাংলা ভাগ হয়েছে ঠিকই, আমাদের দুই বাংলার ভাষ-সংস্কৃতি আর রবীন্দ্র-নজরুল যে ভাগ হয়নি, তা পরতে পরতে প্রমাণ রয়েছে।
[আরও পড়ুন:দিল্লি গিয়ে গঙ্গার জলের কথা ভুলে গিয়েছিলেন খালেদা! আর যা অভিযোগ আওয়ামি লিগের]
তারপর মমতার বঙ্গবন্ধু ভবন তৈরির ইচ্ছাপ্রকাশেও তিনি মুগ্ধ। তাঁরা একত্র হয়ে দুই বাংলার সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতেও আগ্রহী বলে জানান তিনি। এদিনের বৈঠক হয় বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে। বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনাকে ঘিরে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। সেইসঙ্গে জল্পনা ছিল তিস্তা ও ইলিশ নিয়ে কোনও সুষ্পষ্ট ছবি উঠে আসে কি না। তা না হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্কের কীভাবে উন্নতি করা যায় সেই আলোচনা হয়েছে দুই নেত্রীর মধ্যে। এদিনের বৈঠক দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে কাছাকাছি এনেছে।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জলবণ্টন সুষ্ঠুভাবে সমাধান করতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তা একান্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী ছিলেন।
[আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা]
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিল, মমতার সঙ্গে হাসিনার বৈঠকের মূল কারণ ছিল তিস্তাই কিন্তু বৈঠকের পর এই বিষয়ে উভয়েই স্পিকটি নট। তিস্তা নিয়ে কেউই মুখ খুললেন না। স্রেফ জানালেন এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।