গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর আঘাত! অমিত শাহের জেদের কাছে হেরে জ্বলে উঠলেন মমতা
তিন আইপিএসকে রাজ্যের বাইরে বদলি করতে চলেছে কেন্দ্র। আর এই নিয়েই ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মুখ্যমন্ত্রী । ভোটের আগে এমন ঘটনা অসাংবিধানিক বলেই মনে করছেন তিনি। জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা । কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ি ভাঙচুর। নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ। আর এই সবের মধ্যেই বিতর্ক শুরু হয় তিন আইপিএস আধিকারিকের ভূমিকা নিয়ে। ভোলানাথ পাণ্ডে, রাজীব মিশ্র ও প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। এদেরকে ঘিরেই এখন জল্পনা তুঙ্গে।
এমন ঘটনা অসাংবিধানিক বলেই মনে করছেন মমতা
১২ ডিসেম্বর কেন্দ্রের তরফে তাঁদের ডেপুটেশনে চাওয়া হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি ছিল রাজ্যের। সূত্রের খবর, তিন আইপিএসকে রাজ্যের বাইরে বদলি করতে চলেছে কেন্দ্র। আর এই নিয়েই ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের আগে এমন ঘটনা অসাংবিধানিক বলেই মনে করছেন তিনি।
ক্ষমতার অপব্যবহার
টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'রাজ্যের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত তিন আইপিএস আধিকারিককে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইপিএস ক্যাডার বিধি ১৯৫৪-র আপদকালীন ক্ষমতাকে বিনা কারণে অপব্যবহার করা হচ্ছে। এহেন কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের এক্তিয়ারকে সংকোচন করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।'
অগণতান্ত্রিক শক্তির সামনে বাংলা মাথা নোয়াবে না
তিনি আরও লিখেছেন, 'রাজ্যে কর্মরত আধিকারিকদের নীতি থেকে বিচ্যুত করার ও তাঁদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মূল ধারার পরিপন্থী। এটি অসাংবিধানিক এবং কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যের পরিকাঠামোকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কেন্দ্রের এই চেষ্টা আমরা কোনওভাবেই বরদাস্ত করব না। আগ্রাসী ও অগণতান্ত্রিক শক্তির সামনে বাংলা মাথা নোয়াবে না।'
নাড্ডার কনভয়ে হামলা
অভিযোগ ছিল, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কনভয় লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করেছিল৷ লাঠি নিয়েও গাড়িতে আঘাত করা হয়৷ তবে, নাড্ডা বা তাঁর গাড়ির কোনও ক্ষতি না হলেও, ইটের আঘাতে কাচ ভেঙে গেছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ির৷ এই ঘটনার পরই রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
পাশাপাশি রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথাও সেই রিপোর্টে উল্লেখ করতে বলা হয়৷ সেইমতো রিপোর্ট পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তারপরই মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা দিল্লি যাচ্ছেন না। তারপরই এই তিন আইপিএসকে ডেপুটেশনে চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র৷