ঘৃণার রাজনীতি নয়, উন্নয়নের পক্ষেই এই রায়! বিজয়ী প্রার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আরও একটা বিপুল জয় পেল তৃণমূল। বিজেপিকে উড়িয়ে চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জয় ছিনিয়ে নিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। একুশের নির্বাচনে নিজেদের জেতা দুটি কেন্দ্র তো তারা ধরে রাখলই, বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিল শান্তিপুর ও দিনহাটাও। ফল
আরও একটা বিপুল জয় পেল তৃণমূল। চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জয় ছিনিয়ে নিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ধারেকাছে নেই বিজেপি। চার-চারটি কেন্দ্রে জিতে তৃণমূল পৌঁছে গেল ২১৭-তে। আর বিজেপি ছেড়ে আসা পাঁচ বিধায়ককে ধরলে বিধানসভায় তৃণমূলের শক্তি ২২২।
অভাবনীয় এই জয়ের পরেই বিজয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভোটের এহেন ফলাফলের পরেই শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। একই সঙ্গে কর্মীদের দিয়েছেন সংযত থাকার বার্তাও।
সমস্ত জায়গাতে এগিয়ে যেতে থাকেন তৃণমূল
দিনহাটা, গোসাবা, খড়দা এবং শান্তিপুরে ভোট গণনা ছিল এদিন। গণনা শুরু হতেই যে ট্রেন্ড সামনে আসতে শুরু করেছিল তাতে স্পষ্ট ছিল তৃণমূলের জয় জয়কার শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে ভোটের মার্জিন নিয়েই চিন্তা বাড়ছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই প্রতি মুহূর্তে বদলে যেতে থাকে ছবিটা। প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপিকে পিছণে ফেলে সমস্ত জায়গাতে এগিয়ে যেতে থাকেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কিন্তু যে ছবিটা সামনে এসেছে তাতে অবশ্যই চিন্তার ভাঁজ পড়ার মতো অবস্থা বিজেপির কাছে।
বিজেপিকে নিশানা মমতার
একাধিক কেন্দ্রে এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়জয়কার তৃণমূল প্রার্থীদের। গতবারের বিজেপি তাঁদের জেতা আসনেও তেমনটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। আর এরপরেই উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। জয়জয়কারের পরেই টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি লিখলেন, 'আমি চার জয়ী প্রার্থীকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। এটা মানুষের জয়। কারণ বাংলার মানুষ ঘৃণা এবং মিথ্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে উন্নয়ন ও একতাকে বেছে নিয়েছেন। আমরা বাংলাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
বিজেপি যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টপাধ্যআয় জানিয়েছেন, এটা হওয়ারই ছিল। বিজেপি যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। এই নির্বাচনের ফলাফল সেই বার্তাই দিচ্ছে বলে দাবি তাঁর। পার্থবাবুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে উন্নয়ন চলছে তাতে মানুষ বিশ্বাস রাখছে তাঁর উপরেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখার জন্যে চার কেন্দ্রের ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব।
সমস্ত জায়গাতেই তৃণমূলের জয় জয়কার
অন্যদিকে, সমস্ত জায়গাতেই তৃণমূলের জয় জয়কার। সেলেব্রেশনে মেতে উঠেছেন নেতা-কর্মীরা। আর এরপরেই কড়া নির্দেশিকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। অতিমারীর কথা মাথায় রেখে এমন আনন্দের মুহূর্তেও সংযত থাকার নির্দেশ দিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছেন, কোনও রকম বিজয় উৎসব করা যাবে না। ইতিমধ্যে জেলা নেতৃত্বকে এই বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট ভাবে বিজয় উৎসব না করার জন্যে জেলা নেতৃত্বকে খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।