'বিকাশবাবুর আমলে কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল?' বামেদের দুর্নীতি নিয়ে হুঙ্কার মমতার
'বিকাশবাবুর আমলে কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল?' বামেদের দুর্নীতি নিয়ে হুঙ্কার মমতার
এসএসসি দুর্নীতি মামলার আইনজীবী তথা বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে তীব্র নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের মঞ্চ থেকে বামেদের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'বাম আমলে কীভাবে চাকরি হত তা জানা আছে। আমরা বদলা নয় বদলের নীতিতে বিশ্বাসী। চাইলে অনেক কিছু ফাঁস করতে পারি মনে রাখবেন'।
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে নিশানা মমতার
একুশের শহিদ মঞ্চ থেকে সরাসরি এসএসসি নিয়ে বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'সিপিএম-এর বিকাশবাবু। চাকরির জন্য রোজ রোজ এটা কাটো, ওটা কাটো বলে যাচ্ছে। দেখাচ্ছেন কত সাধু পুরুষ। ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানেন না। ওঁকে জিজ্ঞেস করুন, আপনার আমলে কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল? তাঁরা কি বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য় ছিলেন? ফাইলটা বার করব আমি? সেই ফাইল আপনি দেখাবেন, নাকি আমি? আমরা শুরু থেকে বলে আসছি, বদলা নয়, বদল চাই। তাই সেগুলো করিনি আমরা। এটা মাথায় রাখতে হবে। মাথায় রাখতে হবে আপনাদের।'
বামেদের নিশানা
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোয় পাল্টা বামেদের আমলের দুর্নীতির কথা স্মরণ করালেন মুখ্যমন্ত্রী। তীব্র নিশানা করে পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বামেদের আমলে কীভাবে চাকরি হত জানা আছে। তিিন অভিযোগ করেছেন, সিপিএম আমলে এক একটি শিক্ষকের চাকরি ১০-১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। নাম বলে ছোট করতে চাই না। সিপিএম-এর একটি কাগজ রয়েছে। দলের কাগজ। ওদের জিজ্ঞেস করে দেখুন, রিপোর্টারদের স্ত্রীরা সকলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন কী ভাবে। যোগ্যতায় পেয়েছিলেন, নম্বরে পেয়েছিলেন!ছেলেরা পার্টি করবে, বউরা চাকরি করবে। সব জানি আমরা। আমাকে শেখাতে আসবেন না।'
১৭ হাজার চাকরি আটকে রয়েছে
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন রাজ্য সরকার শিক্ষর নিয়োগ করতে চায়। এই মুহূর্তে ১৭০০০ পদ খালি পড়ে রয়েছে। কিন্তু আদালতে মামলা চলায় নিয়োগ করতে পারছে না রাজ্য সরকার। যে মুহূর্তে মামলা মিটবে, নিয়োগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক কথায় যুবাদের চাকরি হতে না দেওয়ার জন্য বামেদেরই কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যাকে বলে নাজেহাল রাজ্য সরকার। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেও সেটা কার্যকর করতে পারছে না। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর। টিএমসি মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে জেরা করেছে সিবিআই। এমনকী রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকেও ডেকে জেরা করেছে সিবিআই। বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ায় তাঁর মেয়েকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মৌলিক সততা নেই! অভিযোগ নিয়ে মমতাকে পাগলা গারদের পথ দেখালেন 'ভাজা মাছ উল্টে খেতে না জানা' বিকাশ