একুশের লক্ষ্যে পাহাড় গুছিয়ে ফেলেছে তৃণমূল! জঙ্গলমহলে এখনও অস্বস্তি জারি মমতার
পাহাড়ের রাজনীতিতে তৃণমূল গুছিয়ে নিয়েছে অনেকটাই। বিজেপিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে বিমল গুরুং-রোশন গিরিদের নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছে তৃণমূল। এবার বিনয় তামাং-অনীত থাপাদের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে।
পাহাড়ের রাজনীতিতে তৃণমূল গুছিয়ে নিয়েছে অনেকটাই। বিজেপিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে বিমল গুরুং-রোশন গিরিদের নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছে তৃণমূল। এবার বিনয় তামাং-অনীত থাপাদের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। তৃণমূল শত প্রতিকূলতার মধ্যেও গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, শুধু সমস্যা রয়ে গিয়েছে জঙ্গলমহলে।
২০২১-এর আগে পাশা উল্টে গিয়েছে পাহাড়ে
তৃণমূল পাহাড়ে বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে নিজেদের জোটে আনতে সমর্থ হলে ২০১৯-এ আশাতীত ফল করতে পারেনি। বিমল গুরুং ও রোশন গিরিদের সাহায্য নিয়ে বিজেপি কিস্তিমাত করে দিয়েছিল ঊনিশের নির্বাচনে। তৃণমূল কোনও ফায়দা তুলতে পারেনি বিনয় তামাংদের নিয়ে। কিন্তু ২০২১-এর আগে পাশা উল্টে গিয়েছে।
মমতার সমস্যা শুধু বিনয় তামাং-অনীত থাপারা
পাহাড়ের রাজনীতি ফের ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে পা দেওয়ার আগেই বিমল গুরুং-রোশন গিরি-রা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা সমর্থন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। বিজেপির মুখোশ খুলে দিয়ে তাঁরা জানান, ২০২১-এ মামতাকেই চান তাঁরা। কিন্তু মমতার সমস্যা শুধু বিনয় তামাং-অনীত থাপারা।
গুরুং-তামাং দ্বৈরথ সামলানোই এখন মমতার কাছে চ্যালেঞ্জ
মমতাকে শুধু মোর্চার দুই পক্ষকে মেলাতে হবে, তাহলে বিজেপি এবার পাহাড় ও পাহাড় সংলগ্ন সমতলে দাঁত ফোটাতে পারবে না। তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য ইতিমধ্যে নবান্নে ডেকে বিনয় তামাং-অনীত থাপার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, গুরুং-গিরিদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা অসম্ভব। এই গুরুং-তামাং দ্বৈরথ সামলানোই এখন মমতার কাছে চ্যালেঞ্জ পাহাড়ে।
পাহাড় বাগে আনতে সক্ষম হলেও জঙ্গমহল এখনও অধরা
এদিকে পাহাড়কে আবার বাগে আনতে সক্ষম হলেও জঙ্গমহল এখনও অধরা মমতার কাছে। সেখানে বিজেপির পাল্লা ভারী। তারপর আবার শুভেন্দু অধিকারী বেঁকে বসেছেন। তিনি কোন দিকে টার্ন নেবেন তৃণমূল জানে না। এই অবস্থায় জঙ্গলমহলকে আবার নিজেদের দিকে আনা খুবই কষ্টদায়ক। তারপর ২০২১-এর নির্বাচনের সময় মাত্র মাস চারেক।
গুরুঙের মতো জঙ্গলমহলে মমতা ফিরিয়ে এনছেন ছত্রধরকে
পাহাড়ে যেমন বিমল গুরুং-রোশন গিরিদের সাড়ে তিন বছর পর ফেরার রাস্তা করে দিয়েছেন, জঙ্গলমহলেও মমতা ফিরিয়ে এনছেন ছত্রধর মাহাতোকে। তবে এখনও তেমন কোনও ভালো ‘মুভ' দেখাতে পারেননি ছত্রধর, যে তৃণমূল আবার কামব্যাক করতে পারে। এখন জঙ্গলমহলকে নতুন করে সংগঠিত করলেও, তার সুফল কতটা মিলবে তার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে।