বোবা সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল মমতাকে! একতরফা শুনে গেলেন মোদীর কথা
বোবা সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল মমতাকে! একতরফা শুনে গেলেন মোদীর কথা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা করোনা-বৈঠক শেষে কেন্দ্রের কঠোর সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য না শুনে, তাঁদের না বক্তব্য রাখার সুযোগ দিয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রী একা বলে গিয়েছেন, তা ভালো চোখে নিচ্ছেন না মমতা। তিনি বৈঠকের পরই কড়া সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন মোদীকে।
বোবা সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল
মমতার অভিযোগ, মোদীর ডাকা বৈঠকে বোবা সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বোবার মতো বসেছিলেন বলে জানান নিজেই। তিনি বলেন, কান আছে তাই শুনছিলাম। আমাদের বলার কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। একতরফা বলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীরা বললেন না, শুধুই শুনলেন
মমতা মনে করেন, তাঁকে বলতে না দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অন্তত বড় রাজ্যগুলির কথা শুনতে পারতেন তিনি। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণ যেসব রাজ্যে অত্যধিক হারে বেশি। কিন্তু কারও কথা না শুনে শুধু বলেই গেলেন প্রধানমন্ত্রী। আর বসে বসে শুনলেন শুধু মুখ্যমন্ত্রীরা।
সুযোগ পেলে কী বলতেন মমতা
আমাকে বলার সুযোগ দিলে আমি কেন্দ্রীয় দল নিয়েও বলতাম। বলতাম, এই সময় করোনার বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার সময়। তা না করে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে সবাইকে বিব্রত করা হচ্ছে। অফিসাররা তাঁদেরকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। কাজটা তাহলে হবে কী করে!
কেন্দ্রের কঠোর সমালোচনা মমতার
মমতা আরও বলেন, রাজ্যকে না জানিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করে দিচ্ছে কেন্দ্র। করোনার লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভূমিকা সঠিক নয়। তিনি বললেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের মধ্যে একটা স্বচ্ছতা থাকা উচিত। কিন্তু মোদী সরকার যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেখানে কোনও স্বচ্ছতা থাকছে না।
কেন্দ্র দ্বিচারিতা করছে : মমতা
মমতা বলেন, কোনও সিদ্ধান্ত দৃঢ়তার সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে না। একবার বলা হচ্ছে লকডাউন আরও কড়াভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে। আবার পরক্ষণে বলছেন দোকান-বাজার খোলা রাখতে হবে নিয়ম মেনে। মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন, লকডাউন মানে লকডাউনই থাকবে, লকডাউন রেখে দোকান-বাজার খুলে রাখা যাবে না।
লকডাউন নিয়ে মোদীর ইঙ্গিত
যা ইঙ্গিত তাতে আরও লকডাউন বাড়তে চলেছে। কিন্তু লকডাউন বাড়ানোর আগে প্ল্যান করা উচিত, সাধারণ মানুষের কী হবে তা স্থির করা উচিত। তা না হলে আরও অনেকদিন লকডাউন চালালে বিপদ বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি ২১ মে পর্যন্ত আমরা জোন ভাগ করে কাজ করব। রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন জোনে ভাগ করে কাজ হবে। ৪৯ দিনকে মান্যতা দিয়েই তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
যে ৯ জন মুখ্যমন্ত্রী সুযোগ পেয়েছিলেন বলার
প্রধানমন্ত্রী ও সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে মাত্র ৯ জন মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাকিরা নিজেদের বক্তব্য লিখে জানাতে পারেন। যে ৯ জন মুখ্যমন্ত্রী সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁরা হলেন মিজোরাম, পণ্ডিচেরি, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশা, বিহার, গুজরাত ও হরিয়ানা রাজ্যের।
বাংলায় করোনা পরিস্থিতি, চিকিৎসা হতে পারে বাড়িতেও! পরামর্শ দিলেন মমতা